স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ুক না-বাড়ুক, ট্রেনযাত্রীদের জন্য কিঞ্চিৎ সুখবর! সংরক্ষিত কামরায় যাতে আরও বেশি যাত্রী সফর করতে পারেন, তার জন্য ‘রিজার্ভেশন এগেনস্ট ক্যানসেলেশন’ বা ‘আরএসি’ কোটায় আসন-সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে রেল বোর্ড। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে মিলবে এই সুযোগ।
রেল বোর্ড সূত্রের খবর, সাধারণ সংরক্ষিত কামরায় এত দিন ১০ জন যাত্রী আরএসি কোটার টিকিট নিয়ে সফর করতে পারতেন। নতুন ব্যবস্থায় যেতে পারবেন ১৪ জন যাত্রী। একই ভাবে বাতানুকূল দ্বিতীয় শ্রেণি এবং তৃতীয় শ্রেণিতে আগে চার জন করে যেতে পারতেন। এখন সেই জায়গায় তৃতীয় শ্রেণিতে আট জন এবং দ্বিতীয় শ্রেণিতে ছ’জন যেতে পারবেন।
আরএসি-তে নতুন বন্দোবস্ত চালু হতে একটু দেরি আছে। তবে মঙ্গলবার থেকেই রাজধানী, শতাব্দী ও দুরন্ত এক্সপ্রেসের শেষ মুহূর্তের টিকিটে ছাড় দেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। ট্রেন ছাড়ার চার ঘণ্টা আগে থেকে ওই তিন গোত্রের ট্রেনের ‘বেস ফেয়ার’ বা মূল ভাড়ায় দেওয়া হচ্ছে ১০ শতাংশ ছাড়। তার পরেই এই আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আরএসি কোটা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হল। রাজধানী, দুরন্ত ও শতাব্দী এক্সপ্রেসের প্রতিটি শ্রেণিতেই ১০ শতাংশ হারে তৎকাল টিকিট বিক্রির সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই ট্রেনগুলিতে তৎকাল টিকিটের ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে।
ইদানীং ‘ফ্লেক্সিফেয়ার’ পদ্ধতি অনুযায়ী ট্রেনেও বিমানের মতো যাত্রার দিন এগিয়ে এলে ভাড়া বাড়ানোর নিয়ম চালু করেছিল রেল। রেলের ভাড়া বেশি বেড়ে যাওয়ার দরুন অনেক যাত্রীই বিমানে সওয়ার হচ্ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে রেল-কর্তৃপক্ষ এ ভাবে ভাড়া কমিয়ে ফের যাত্রী টানার চেষ্টা করছেন বলে রেল শিবিরের একাংশের ধারণা। রেল বোর্ড সূত্রের খবর, আগামী ছ’মাস টিকিটের এই নতুন ছাড় চালু থাকবে। তবে রেলকর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, আরএসি কোটা বাড়িয়ে দেওয়া হলে আগে ট্রেনে আরএসি টিকিট থেকে একটি বার্থও পাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। এ বার বার্থ পাওয়ার আশা কিছুটা কমে গেল। তবে আরএসি টিকিট পাওয়া প্রত্যেক যাত্রীর বসার ব্যবস্থা করা হবে।