চারপাশের মনোরম দৃশ্য দেখতে দেখতে যখন ট্রেনে পাড়ি দেন একবারও মনে হয়েছে ভারতীয় রেলের মধ্যেই লুকিয়ে আছে কত অজানা রহস্য। জানেন কি, দেশের মধ্যে এমন কিছু রেল স্টেশন রয়েছে যেগুলি ভাগ হয়ে গিয়েছে দু’টি রাজ্যের মধ্যে? এমনও স্টেশন রয়েছে, যেখানে এক রাজ্যে টিকিট কাউন্টার আর বাকি স্টেশন অন্য রাজ্যে? দেখে নেওয়া যাক এমনই দুই স্টেশনের গল্প।
নবাপুর রেল স্টেশনের নাম শুনেছেন? এই স্টেশনটির অবস্থান মহারাষ্ট্র ও গুজরাত সীমানায়। ফলে, স্টেশন একটাই কিন্তু ভাগ হয়ে গিয়েছে দু’টি রাজ্যের মধ্যে।
সম্প্রতি রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল টুইটারে বলেছেন, ‘‘নবাপুর রেল স্টেশন একই সঙ্গে দুই রাজ্যে অবস্থান করছে। যার অর্ধাংশ মহারাষ্ট্রে এবং বাকি অংশ গুজরাতে। অর্থাৎ, রাজ্য ভাগ করেছে কিন্তু ভারতীয় রেল একসূত্রে গেঁথেছে।’’
নবাপুর মহারাষ্ট্র পুরসভার (নগর পঞ্চায়েত) অন্তর্গত। মহারাষ্ট্র-গুজরাত সীমানায় অবস্থিত নবাপুরের অবস্থান এমন যে, এক দিকে মহারাষ্ট্রের উত্তর পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ধুলে এবং অন্য দিকে গুজরাতের সুরাত, দু’দিক থেকেই এই জেলার দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। নবাপুর স্টেশনও খুব বেশি বড় নয়। খ্যাতির আড়ালে থাকলেও এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যই নবাপুরের পরিচিতি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
নবাপুর মহারাষ্ট্র পুরসভার (নগর পঞ্চায়েত) অন্তর্গত। মহারাষ্ট্র-গুজরাত সীমানায় অবস্থিত নবাপুরের অবস্থান এমন যে, এক দিকে মহারাষ্ট্রের উত্তর পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ধুলে এবং অন্য দিকে গুজরাতের সুরাত, দু’দিক থেকেই এই জেলার দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। নবাপুর স্টেশনও খুব বেশি বড় নয়। খ্যাতির আড়ালে থাকলেও এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যই নবাপুরের পরিচিতি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
নবাপুর ছাড়াও দেশে এই রকম আরও একটি স্টেশন রয়েছে। স্টেশনটির নাম ভবানী মান্ডি। যার অর্ধেক রয়েছে মধ্যপ্রদেশে এবং বাকি অর্ধেক রাজস্থানে।
ভবানী মান্ডি রাজস্থানের ঝালওয়ার জেলার একটি ছোট্ট শহর। এখানকার রেল স্টেশনটি তৈরিই হয়েছে এমন ভাবে যে, এর দক্ষিণ ভাগ পড়ছে রাজস্থানে এবং উত্তর অংশ পড়ছে মধ্যপ্রদেশে।
আরও মজার কথা হল, ভবানী মান্ডি স্টেশনের টিকিট কাউন্টার পড়েছে মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর জেলায়। অন্য দিকে, স্টেশনের ঢোকার মূল গেট ও ওয়েটিং রুম সবই রয়েছে রাজস্থানের ঝালওয়ার জেলায়। অর্থাৎ, আপনি টিকিট কাটলেন মধ্যপ্রদেশে, কিন্তু ট্রেনে উঠলেন রাজস্থান থেকে!