সাজাপ্রাপ্ত বিজেপি বিধায়ক কঁওয়ারলাল মীনা। —ফাইল চিত্র।
দু’দশকের পুরনো মামলায় পাঁচ বছর আগে তাঁর তিন বছরের জেলের সাজা হয়েছিল নিম্ন আদালতে। রাজস্থানের বিজেপি বিধায়ক কঁওয়রলাল মীণার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন তিন সপ্তাহ আগে খারিজ করে দিয়েছিল সে রাজ্যের হাই কোর্ট। এর পরে সুপ্রিম কোর্টও মীণার আর্জি খারিজ করে তাঁকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।
শেষ পর্যন্ত সেই নির্দেশ মেনে বুধবার আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আর তার পরেই রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার বাসুদেব দেবনানি শুক্রবার মীণার বিধায়কপদ খারিজের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। প্রসঙ্গত, পূর্ব রাজস্থানের ঝালাওয়াড়-বারান লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অন্তা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মীণা ২০০৫ সালে স্থানীয় মহকুমাশাসককে পিস্তল উঁচিয়ে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। সেই অপরাধেই জেলের সাজা হয়েছে তাঁর।
২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর, ঝালাওয়াড় জেলার অকলেরা আদালত ওই মামলায় মীণাকে তিন বছরের জেলের সাজা দিয়েছিল। যেখানে তাঁকে সরকারি কাজে বাধাদান, সরকারি কর্মকর্তাদের ভয় দেখানো এবং সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এর পরে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে রাজস্থানের বিজেপি সরকার বিষয়টি নিয়ে আইন তৎপরতা না দেখানোয় হাই কোর্টে আবেদন জানান বিরোধী দল কংগ্রেসের এক নেতা।
এর পরে হাই কোর্ট জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি খারিজ করলে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন মীণা। কিন্তু তা খাজির হওয়ায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১) ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধে দু’বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি সাজা ঘোষণার দিন থেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার অধিকার হারাবেন। এবং মুক্তির পর ছ’বছর পর্যন্ত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না।