— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বিএলও-র মৃত্যু এ বার রাজস্থানেও! হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল রাজস্থানের সওয়াই মাধোপুরের এক বুথ লেভেল অফিসারের। পরিবারের দাবি, এসআইআর সংক্রান্ত কাজের চাপে গত কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ওই ব্যক্তি। বুধবার মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনাটি ঘটেছে সওয়াই মাধোপুর জেলার খান্ডার মহকুমার অন্তর্গত বাহারাওয়ান্দা খুর্দ গ্রামে। সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন সূত্রে খবর, মৃতের নাম হরিওম বৈরওয়া ওরফে হরিরাম। হরিরামের পরিবারের কথায়, একে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী সংক্রান্ত কাজ, তার উপর ঊর্ধ্বতন কর্তাদের ক্রমাগত চাপের কারণে গত ছ’সাত দিন ধরে চরম মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন ওই যুবক। বাড়িতে কারও সঙ্গে কথা বলাও একপ্রকার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বুধবার সকালে তহসিলদার হরিরামকে ফোন করে এসআইআর সম্পর্কিত কাজের জন্য ডাকেন। দাবি, সেই ফোন পাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হরিরাম। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
যদিও এ সব অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন তহসিলদার জয়প্রকাশ রোলান। তিনি বলেন, হরিরাম একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন। এসআইআর সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব বেশ নিষ্ঠার সঙ্গেই পালন করতেন তিনি। সকালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেটিই হরিরামকে জানানোর জন্য ফোন করেছিলেন তিনি। ফোনে কথা হওয়ার পরেই কী ভাবে ওই ব্যক্তি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলেন, বুঝতে পারছেন না তহসিলদার।
তবে এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে এসডিএম এবং ওই তহসিলদারের বিরুদ্ধে তীব্র মানসিক চাপের মধ্যে কাজ করতে বাধ্য করার অভিযোগ দায়ের করেছে ওই বিএলও-র পরিবার। হরিরামের বাবা ব্রিজমোহন বৈরওয়া এবং ভাইয়েরা বাহারাওয়ান্দা খুর্দ থানায় এ সংক্রান্ত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
এই নিয়ে কেরল, রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ জন বিএলও-র মৃত্যু হল। পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই দু’জন বিএলও-র মৃত্যু হয়েছে। কেরলে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। মঙ্গলবার রাজস্থানের জয়পুরে মারা গিয়েছেন এক জন। এ বার আরও এক বিএলও-র মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।