— ফাইল চিত্র।
রাজা নেই। রাজার শাসনও নেই। তা হলে কেন আবেদনকারীর নামের আগে ‘মহারাজ’, ‘যুবরাজ’ বা ‘রাজকন্যা’ লেখা হবে? সেই প্রশ্ন তুলল রাজস্থান হাই কোর্ট। জয়পুর রাজপরিবারের উত্তরাধিকারীদের কোর্টে করা আবেদনে তাঁদের নামের আগে লেখা ‘মহারাজ’ এবং ‘রাজকন্যা’ সরিয়ে দিতে বললেন বিচারপতি মহেন্দ্রকুমার গোয়েল। তিনি জানিয়েছেন, নামের আগে থেকে এই উপসর্গ না সরালে ২৪ বছরের পুরনো এই মামলা খারিজ করে দেওয়া হবে। অপসারণের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। ১৩ অক্টোবরের মধ্যেই এই কাজ করতে হবে।
বিচারপতি গয়াল নিজের পর্যবেক্ষণে জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে পিটিশনে আবেদনকারীর নামের আগে থেকে ‘মহারাজ’, ‘যুবরাজ’ বা ‘রাজকন্যা’ উপাধি সরাতে হবে। এর পর নতুন করে সংশোধিত আবেদন করতে হবে। সময় মতো আবেদনকারীর নামের আগে থেকে সেই উপসর্গ না সরালে মামলা নিজে থেকেই বাতিল হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে হাই কোর্ট।
২০০১ সালে মামলাটি করেছিলেন জয়পুর রাজ পরিবারের প্রয়াত জগৎ সিংহ এবং পৃথ্বীরাজ সিংহের উত্তরাধিকারী। পুরসভা বাড়ির জন্য যে কর সংগ্রহ করে, সেই নিয়ে মামলা করেছিলেন তাঁরা। সেই মামলার শুনানিতে রাজপরিবারের জন্য বিশেষ সম্মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, রাজতন্ত্র নির্মূল হয়েছে বহু বছর আগে। দেশে এখন সাধারণতন্ত্র বলবৎ রয়েছে। তার পরেও কেন আইনি বিষয়ে নামের আগে রাজ পরিবারের সদস্যেরা এই ‘উপাধি’ ব্যবহার করবেন?
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে হাই কোর্টের জয়পুর বেঞ্চ একই বিষয়ে আপত্তি তুলেছিল। কেন্দ্রীয় এবং রাজস্থান সরকারের থেকেও জবাব চেয়েছিল। এর আগে প্রশ্ন তুলেছিল হাই কোর্টও।