রজনীকান্ত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে মুগ্ধ দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত। তাঁর মতে, জওহরলাল নেহরু, রাজীব গাঁধীর মতোই ‘ক্যারিশমা’ মোদীর। পাশাপাশি, হারের জন্য রাহুল গাঁধীর ইস্তফা দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছেন রজনী।
আগামী ৩০ মে মোদীর দ্বিতীয়বারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সুপারস্টার। তার আগে রজনী আজ বলেন, ‘‘এ বারের লোকসভা ভোটে জয়ী হয়েছে এক জন ব্যক্তির নেতৃত্ব, তিনি নরেন্দ্র মোদী। এটা ক্যারিশমাটিক নেতার জয়।’’ দক্ষিণী তারকার মতে, ভারতের রাজনীতিতে— কেন্দ্র কিংবা রাজ্য যেখানেই হোক, কোনও রাজনৈতিক দল তাদের নেতার জনপ্রিয়তার উপরেই জিততে
পারে। এ প্রসঙ্গে জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধী, অটলবিহারী বাজপেয়ীর কথা তুলে ধরেছেন তিনি। রজনীর বক্তব্য, তাঁদের নেতৃত্বের পরেই দেশ পেয়েছে মোদীকে। তামিলনাড়ুতে কামরাজ, এমজিআর, এম করুণানিধি,জে জয়ললিতার প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন রজনী।
রাহুল প্রসঙ্গে রজনী বলেন, ‘‘তাঁর মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা নেই— এমন কথা বলব না। তবে কংগ্রেসের মতো পুরনো দলকে সামলানো বেশ কঠিন। বর্ষীয়ান অনেক নেতা রয়েছেন সেখানে। এক জন কম বয়সির পক্ষে এত জন প্রবীণ নেতাকে সামলানো কঠিন। মনে হয়, ওই নেতাদের অনেকে ভোটের সময়ে পরিশ্রম করে দলকে সাহায্যও করেননি।’’ রজনীর মতে, রাহুলের ইস্তফা দেওয়া উচিত নয়। কারণ, গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্ব অনেক। রজনী বলেন, ‘‘বিজেপি এই মুহূর্তে খুবই শক্তিশালী। বিরোধী দলগুলিকেও শক্তিশালী হতে হবে।’’
তবে লোকসভা ভোটে তামিলনাড়ুতে মোদীর নেতৃত্ব কাজ করেনি। রজনীর দাবি, বিরোধীদের ঝোড়ো প্রচার এবং স্টারলাইট কারখানাকে ঘিরে বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনায় মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল।