রাজ্যসভায় ভোট ৮ই, মেঘ ইয়েচুরি-ভাগ্যে

পরিকল্পনা ছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে সার্বিক বিরোধী ঐক্যের একটা ছবি গড়ে উঠবে। সেই বাতাবরণে রাজ্যসভার ভোটে কংগ্রেস ও বামেদের সমঝোতার অঙ্ক তৈরি হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বুধবার রাজ্যসভার ৬টি আসনে দ্রুত ভোট ঘোষণা করে দেওয়ায় নতুন করে ভাবতে হচ্ছে সিপিএমকে! সংশয়ের মেঘ দেখা দিচ্ছে সীতারাম ইয়েচুরির ফের প্রার্থী হওয়া নিয়েও।

Advertisement

সন্দীপন চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৭ ০৩:৪৪
Share:

ফাইল চিত্র।

পরিকল্পনা ছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে সার্বিক বিরোধী ঐক্যের একটা ছবি গড়ে উঠবে। সেই বাতাবরণে রাজ্যসভার ভোটে কংগ্রেস ও বামেদের সমঝোতার অঙ্ক তৈরি হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বুধবার রাজ্যসভার ৬টি আসনে দ্রুত ভোট ঘোষণা করে দেওয়ায় নতুন করে ভাবতে হচ্ছে সিপিএমকে! সংশয়ের মেঘ দেখা দিচ্ছে সীতারাম ইয়েচুরির ফের প্রার্থী হওয়া নিয়েও।

Advertisement

সিপিএমের পরবর্তী রাজ্য কমিটির বৈঠক ১ ও ২ জুন। বাংলা থেকে রাজ্যসভায় সিপিএম প্রার্থী দাঁড় করাতে চায় কি না, সেই মর্মে প্রস্তাব পাঠানোর কথা আলিমুদ্দিনের। কিন্তু কমিশন এ দিন যে নির্ঘণ্ট দিয়েছে, তাতে ভোট হবে ৮ জুন। তার জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে ২২ মে, যে দিন নবান্ন অভিযান! এই পরিস্থিতিতে চিন্তায় আলিমুদ্দিন। প্রাথমিক ভাবে তাদের ভাবনা, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর তরফেই রাজ্যসভা সংক্রান্ত বক্তব্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সমস্যার শেষ এখানেই নয়। রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে সদ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। অন্য হাতে তিনি এখনই পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের মোকাবিলায় কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী হিসাবে ইয়েচুরির নাম চূড়ান্ত করতে সক্রিয় হবেন, এমন আশা করছেন না সূর্যকান্ত মিশ্রেরা। কংগ্রেস নিজেদের জোরে আসন জেতার ক্ষমতা রাখলেও বামেদের সেই সংখ্যা নেই। কংগ্রেসের মদত পেলেই ইয়েচুরি প্রার্থী হতে পারেন। তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে দলে এমনিতেই মতবিরোধ আছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগেই রাজ্যসভার ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় বিরোধের মোকাবিলার সুযোগ কমে এল আলিমুদ্দিনের। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘সিপিএমের সাধারণ সম্পাদককে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে রাজ্যসভায় যেতে হচ্ছে, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।’’

Advertisement

সিপিএমের ইয়েচুরি, কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, দোলা সেন ও দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যসভায় মেয়াদ ফুরোচ্ছে ১৮ অগস্ট। অঙ্ক অনুযায়ী, ৬টি আসনের মধ্যে একটি আসন পাওয়ার কথা বিরোধীদের। দলের মধ্যে চাপ বাড়াতে ইয়েচুরি প্রকাশ্যে বলে রেখেছেন, দু’বারের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় তাঁর আর প্রার্থী হওয়ার কথা নয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কি রাজ্যসভায় কংগ্রেস-বাম সমঝোতা জলে পড়ল? বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর জবাব, ‘‘বিরোধীদের একটা আসন নিশ্চিত করতে যা করণীয়, আমাদের করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন