রাজ্যসভায় শূন্য বাম, তৈরি তৃণমূল

আগামী মার্চে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় খালি হচ্ছে পাঁচটি আসন। বিধানসভায় সংখ্যার নিরিখে চারটি আসনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত।কিন্তু সিপিএমের পক্ষে সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেনের জায়গায় একক শক্তিতে কাউকে পাঠানো সম্ভব নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৮
Share:

প্রকাশ কারাটের তত্ত্বে অনড় থেকে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় শূন্য হয়ে যেতে হবে বামেদের! সেই ১৯৫২ সাল থেকে এই প্রথম!

Advertisement

আগামী মার্চে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় খালি হচ্ছে পাঁচটি আসন। বিধানসভায় সংখ্যার নিরিখে চারটি আসনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত।কিন্তু সিপিএমের পক্ষে সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেনের জায়গায় একক শক্তিতে কাউকে পাঠানো সম্ভব নয়। আবার কারাট শিবিরের নিদান অনুযায়ী, কংগ্রেসের সমর্থন নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়! এই একই কারণে গত বছর দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকেও রাজ্যসভায় পাঠাতে পারেনি সিপিএম। এ রাজ্য থেকে ২০২০ সাল অবধি যাঁর মেয়াদ আছে, সেই ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও এখন আর সিপিএমে নেই। দল থেকে বহিষ্কারের পরে এখন তিনি ‘দলহীন’ সাংসদ।

শূন্য হয়ে যাওয়ার সঙ্কট সামাল দিতে বাম শিবির যখন নানা ঘুরপথ সন্ধানে ব্যস্ত, তৃণমূল তখন ঘর গুছোচ্ছে। শাসক শিবির সূত্রের ইঙ্গিত, অন্তত তিন আসনে এ বার মুখ বদল হবে তৃণমূলের। চার আসন জিতে পঞ্চমটি জেতার জন্য কতদূর ঝাঁপানো হবে, তা নিয়ে চলছে নানা অঙ্ক। দলের একাংশের মতে, কংগ্রেসের তরফে কোনও ‘বিশিষ্ট’ মুখকে নিজেদের বাড়তি বিধায়ক দিয়ে সমর্থন জুগিয়ে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সলতে পাকিয়ে রাখতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। আবার অন্য অংশের বক্তব্য, তৃণমূল হোক বা বাম-কংগ্রেস— সকলেরই মূল লক্ষ্য দিল্লিতে বিজেপি-কে ঠেকানো। তাই ‘নিরপেক্ষ’ কোনও মুখকে সামনে রেখে বাম-কংগ্রেসে সমঝোতা হলে তাতে বাধা না দেওয়াই শাসক দলের কৌশল হতে পারে। আগামী ৯ মার্চ কোর কমিটিতে গোটা বিষয় স্পষ্ট হবে বলে তৃণমূলের একাংশের আশা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন