National news

‘বাবা’র রোজগার ২০ টাকা, পুজোয় আগ্রহ নেই হানির

কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষের কথা থেকে বেরিয়ে আসছে, দু’জনের মধ্যে বেশ খানিকটা এগিয়ে রাম রহিম। ‘‘এখন তিনি নিয়মনিষ্ঠ।ভদ্র। আগের রাম রহিম আর এখনকার রাম রহিমের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৭:৩৪
Share:

রাম রহিম এবং হানিপ্রীত। ফাইল চিত্র।

পদবীতে দু’জনেই ইনসান। ধীরে হলেও কারাগার নাকি দু’জনকেই নামিয়ে আনছে সাধারণ ‘ইনসান’-এর স্তরে। ডেরা সাচ্চা সওদা’র প্রাক্তন প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংহ ইনসান এবং তাঁর পালিত কন্যা হানিপ্রীত। জেলে অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে রাম রহিমের দৈনিক রোজগার এখন দিন প্রতি মাত্র কুড়ি টাকা। আর বাবার ‘প্রাণাধিক প্রিয়’ হানিপ্রীত? তিনি এখন নিজের পরিবারের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। আত্মীয়েরা দেখা করতে এলে নাকি হানিপ্রীতের খুশির সীমা থাকে না।

Advertisement

দুই সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাম রহিম। তাকে রাখা হয়েছে সুনারিয়া (রোহতক) জেলে। অন্য দিকে, রাম রহিম মামলার রায়দানের সময় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে, হানিপ্রীতের বিরদ্ধে মামলা চলছে। আপাতত তার ঠাঁই আমবালা সেন্ট্রাল জেলে। শোনা যায়, জেলে আসার পর দু’জনেই অবসাদে ভুগতেন। কখনও দেখা দিত প্রবল অস্থিরতা। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা তাঁরা করছেন। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষের কথা থেকে বেরিয়ে আসছে, দু’জনের মধ্যে বেশ খানিকটা এগিয়ে রাম রহিম। ‘‘এখন তিনি নিয়মনিষ্ঠ।ভদ্র। আগের রাম রহিম আর এখনকার রাম রহিমের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত।’’

বাবার চেনা জেল্লা নাকি কেড়ে নিয়েছে কারাগারের বন্দি জীবন। তাঁর দাড়ি এখন ধূসর। জেলের খামারে ফসল ফলানোর জন্য প্রতিদিনের হাড়ভাঙা খাটুনিতে আপত্তিও করেন না। রংচঙে জামাকাপড় ছাড়া যাঁর চলত না, এখন তাঁর পরনে কিনা সাদা কুর্তা এবং পায়জামা! তুলনায় জেল্লাদার পোশাকের নেশা ছাড়তে পারেননি হানিপ্রীত। জানা গিয়েছে, রাম রহিমের খাতে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা জমা দেওয়ার জন্য তাঁর পরিবারকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই টাকায় জেলের ক্যান্টিন থেকে মাঝে মধ্যেই শিঙাড়া কেনেন রাম রহিম। কেনেন ফল-মূল।

Advertisement

আরও খবর: ‘মোদীর চপ্পলরাজ’! গানে খোঁচা দিয়ে তামিলনাড়ুতে গ্রেফতার শিল্পী

আরও খবর: আইপিএল দেখতে না দেওয়ায় আত্মঘাতী ছাত্র

শোনা যায়, হানিপ্রীত নাকি প্রথম দিকে বাড়ি থেকে খাবার আনার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে যাওয়ায় সেই সুবিধা বেশি দিন ভোগ করতে পারেননি। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হানিপ্রীত নিজেকে আধ্যাত্মিক হলে দাবি করেন। কিন্তু পুজোআর্চায় তাঁর আগ্রহ নেই। এ ছাড়া তিনিও জেলে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন