কাশ্মীরে অভিযান বন্ধ করে মুখ পুড়ল দিল্লির

এ দিন বিকেলেই শোপিয়ানের জামানাগরিতে জঙ্গিদের সঙ্গে বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৮ ০৩:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

রমজান মাসে কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানি মদতে পুষ্ট অন্যতম জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তৈবা পুরো বিষয়টিকে ‘নাটক’ বলে উড়িয়ে দেওয়ায় দিল্লির মুখ পুড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিন বিকেলেই শোপিয়ানের জামানাগরিতে জঙ্গিদের সঙ্গে বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি এক সর্বদল বৈঠকের পরে রমজান মাস ও অমরনাথ যাত্রার প্রেক্ষিতে কাশ্মীরে একতরফা ‘সংঘর্ষবিরতি’ ঘোষণার দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁকে সমর্থন করে ন্যাশনাল কনফারেন্সের মতো বিরোধীরাও। উদাহরণ হিসেবে অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানায় জঙ্গিদমন অভিযান বন্ধ রাখার কথা উল্লেখ করেন তাঁরা। ২০০০ সালে জঙ্গিদমন অভিযান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাজপেয়ী সরকার। ২০০৩ সালে পাকিস্তানের সঙ্গেও সংঘর্ষবিরতি সমঝোতা হয়।

আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, রমজান মাসে কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছে। শান্তিপ্রিয় মুসলিমদের রমজান উদ্‌যাপনের সুযোগ দিতেই এই পদক্ষেপ। ধর্মের নামে যারা হিংসা ছড়ায় সেই শক্তিগুলিকে একঘরে করা প্রয়োজন। তবে হামলা হলে বাহিনী জবাব দেবে। মেহবুবাকে ফোনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কেন্দ্রের ঘোষণাকে স্বাগত জানান মেহবুবা। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা বলেন, ‘‘জঙ্গিরা এই প্রস্তাবে সাড়া না দিলে রাজ্যবাসী বুঝবেন তারা জনতার শত্রু।’’

Advertisement

এর কয়েক ঘণ্টা পরেই লস্করের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এই ঘোষণা ‘নাটক’। কাশ্মীর থেকে ‘দখলদার ভারতীয় বাহিনী’ সরে না গেলে কোনও আলোচনাও সম্ভব নয়।

গো়ড়া থেকেই মেহবুবার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল সেনাবাহিনী। ক্ষুব্ধ হয় সঙ্ঘ পরিবারও। রাজনীতিকদের একাংশের মতে, জোটশরিক মেহবুবাকে কিছুটা রাজনৈতিক সুবিধে দিতেই এই পদক্ষেপ করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু গোড়াতেই লস্কর প্রস্তাব উড়িয়ে দেওয়ায় অস্বস্তিতে পড়ল দিল্লি। বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত অবশ্য এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি।

আজ পর্যন্ত বাহিনীর অভিযান চলছে। শোপিয়ানের জামনাগরিতে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে যৌথ বাহিনীর। গোয়েন্দাদের একাংশের মতে, অভিযান বন্ধ হলে জঙ্গিরা নতুন ভাবে সংগঠন সাজানোর সুযোগ পাবে। আরও খারাপ হবে উপত্যকার পরিস্থিতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন