মাত্র কয়েক দিন হলো, আম জনতাকে স্বস্তি দিয়ে বাজারে এসেছে নতুন পাঁচশো আর দু’হাজার টাকার নোট। কিন্তু সেই নোট জোড়া নিয়েও চূড়ান্ত বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কোনও সময় দেখা যাচ্ছে দু’টি একই অঙ্কের নোটের রং আলাদা। কোথাও আবার গাঁধীজির ছবির পিছন দিয়ে উঁকি মারছে আর একটি মুখ। আর এ সবের পরই গুজব ছড়াতে শুরু করেছে, বেশ কিছু সংখ্যক নতুন পাঁচশো আর দু’হাজারের নোট নাকি বাজারে চলছে না। গুজব ঠেকাতে মাঠে নামতে হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)-কে।
আজ আরবিআইয়ের মুখপাত্র আল্পনা কিলাওয়ালা বলেছেন, ‘‘নতুন পাঁচশো আর দু’হাজারের নোট একেবারেই বৈধ। যাঁরা বলছেন, বাজারে নতুন নোট চলবে না, তাঁরা ঠিক বলছেন না।’’ তবে তিনি স্বীকার করেছেন, তাড়াহুড়োর জন্য কিছু নোটে হয়তো ছাপার ভুল রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, লাখ লাখ নোটের ফাঁকে কয়েকটা এমন ছাপার ভুল থাকা কিছু অস্বাভাবিক বিষয় নয়। আরবিআইয়ের যে কোনও শাখায় সেই নোটগুলো নিয়ে গেলে ব্যাঙ্ক সেগুলি পাল্টে দেবে বলেও জানান আল্পনা। দিল্লির বাসিন্দা আবশর জানাচ্ছেন, তাঁর কাছে যে পাঁচশো টাকার নোট রয়েছে তাতে গাঁধীজির মুখের ছবির পিছনে তাঁর আর একটি ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। পাঁচশোর নোটে অশোক স্তম্ভের পিছন দিয়ে যাওয়া রেখার ছাপ নিয়েও গোলমাল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক লেখা অংশে ‘আর’ অক্ষরটি ঢেকে গিয়েছে কোথাও কোথাও। কেউ এমন নোট পেয়েছেন যাতে ৫০০ সংখ্যাটাই ঢাকা। মুম্বইয়ের এক বাসিন্দা জানান, তাঁর কাছে দু’হাজার টাকার দু’টি নোট এসেছে, যার রং আলাদা। একটি গাঢ় গোলাপি, আর অন্যটির রং হাল্কা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর ফলে গ্রাহকদের মধ্যে বিভ্রান্তি যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে বাজারে জাল নোট আসার সম্ভাবনাও। সাধারণ মানুষ খুব সহজেই জাল নোটের ফাঁদে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘নোটে ছাপার ভুল যত দ্রুত সম্ভব শোধরানো দরকার।’’