Lal Qila

কালশিটে পড়ছে লালকেল্লার গায়ে! দায়ী কি বায়ুদূষণ? নয়া সমীক্ষায় কী তথ্য উঠে এল, মোগল স্থাপত্যকে নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

গবেষকেরা জানিয়েছেন, লালকেল্লার গায়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ ধরা পড়েছে। কী ভাবে এই দাগের সৃষ্টি হল, এর জন্য দায়ী কে— তার পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। ১৫ সেপ্টেম্বর সেই সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৫১
Share:

কালো রঙের পরত দেখা গিয়েছে লালকেল্লায়। — ফাইল চিত্র।

কালশিটে পড়ছে দিল্লির লালকেল্লার গায়ে? সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এল। গবেষকেরা জানিয়েছেন, লালকেল্লার গায়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ ধরা পড়েছে। কী ভাবে এই দাগের সৃষ্টি হল, এর জন্য দায়ী কে— তার পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। ১৫ সেপ্টেম্বর সেই সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

রিপোর্টে বলা হয়েছে, লালকেল্লার গায়ে জিপসাম, ভারী ধাতু যেমন সীসা, তামা এবং দস্তার আস্তরণ পড়ছে, যা মূলত নির্মাণকাজ, গাড়ির ধোঁয়া এবং শিল্পাঞ্চল থেকে যায়। ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ লালকেল্লা। প্রাচীন এই স্থাপত্যের উপর তা হলে কি দূষণ ছোবল মারতে শুরু করেছে? নয়া সমীক্ষায় অন্তত সেই দিকেই ইঙ্গিত করা হচ্ছে।

কেন্দ্রের বিজ্ঞান এবং তথ্যপ্রযুক্তি দফতর, আআইটি রুরকি, আইআইটি কানপুর, ইটালির কা ফসকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ-এর উদ্যোগে এই গবেষণা চালানো হয়েছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, লালকেল্লার গা থেকে যে কালো থিকথিকে পদার্থ উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পাথরগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। জায়গায় জায়গায় লাল পাথরগুলি ফুলে উঠছে। যা ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে।

Advertisement

লালকেল্লা লাল বেলেপাথরে তৈরি। যার মধ্যে মূলত সিলিকা (কোয়ার্ৎজ়) এবং আয়রন অক্সাইড আছে। আয়রন অক্সাইডের জন্যই এই পাথরের রং লাল। কিন্তু সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বাতাসে যে ধূলিকণা, গ্যাস (এসও২, এনও২ এবং ওজোন) রয়েছে, সেগুলি লালকেল্লার গায়ে জমছে। যানবাহনের ধোঁয়া, নির্মাণকাজ, সিমেন্ট কারখানা এবং বিভিন্ন শিল্পের ধোঁয়া এবং গ্যাস তা ক্রমশ লালকেল্লার পাথরের সংস্পর্শে এসে রাসায়নিক বিক্রিয়া করছে।

কী কী ক্ষতি হচ্ছে?

যে লাল রঙের জন্য লালকেল্লার পরিচিতি, সেই লাল রঙে কালো রঙের পরত পড়ছে। চিটচিটে কালো রঙের সেই দূষিত পদার্থ পাথরের গায়ে জমা হয়ে লালকেল্লার প্রাচীরকে দুর্বল করছে। দিল্লির অতিরিক্ত দূষণকেই প্রাথমিক ভাবে এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে। ফলে মোগল আমলের এই স্থাপত্যকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement