DK Shivakumar

কেন ছাড়লেন মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি? কারণ ব্যাখ্যা কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমারের

কর্নাটকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ পেয়েই ‘সন্তুষ্ট’ থাকতে হয় শিবকুমারকে। কিন্তু কেন তিনি তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা সরিয়ে সিদ্দারামাইয়ার ‘ডেপুটি’ হতে রাজি হন, তার কারণ জানা যায়নি এত দিন অবধি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৩ ১৩:২৪
Share:

কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। —ফাইল চিত্র।

কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে ছিলেন ডিকে শিবকুমারও। কিন্তু কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেয় সিদ্দারামাইয়াকেই। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ পেয়েই ‘সন্তুষ্ট’ থাকতে হয় শিবকুমারকে। কিন্তু কেন তিনি তাঁর রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষায় লাগাম পরিয়ে সিদ্দারামাইয়ার ‘ডেপুটি’ হতে রাজি হয়েছিলেন, তার কারণ জানা যায়নি এত দিন অবধি। শনিবার নিজেই তার ব্যাখ্যা দিলেন কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার।

Advertisement

নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র রামনগরে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে শিবকুমার জানান, সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের পরামর্শেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছেন। তিনি এই বিষয়ে ধৈর্য ধরতেও রাজি বলে জানিয়েছেন তিনি। রামনগরের সভায় শিবকুমার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য আপনারা আমায় ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাহুলজি, সনিয়াজি এবং খড়্গেজি আমায় কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আমি তাঁদের পরামর্শ গ্রহণ করেছি।”

গত ১৩ মে কর্নাটকে বিপুল আসন পেয়ে জয়ী হয় কংগ্রেস। ফলাফল বেরোনোর চার দিন পরে দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর নাম জানানো হয়। সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর ঠিক হয় সিদ্দারামাইয়াই কর্নাটকের কুর্সিতে বসবেন। আর দলের ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতিকে খানিক শিথিল করেই একাধারে কংগ্রেস সভাপতি এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবেন শিবকুমার। কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, দলের অধিকাংশ বিধায়কই তাঁদের নেতা হিসাবে সিদ্দারামাইয়াকেই চেয়েছিলেন। কিন্তু খারাপ সময়ে দলের প্রতি শিবকুমারের অবদানের কথা মাথায় রেখেই তাঁকেও সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন