(বাঁ দিকে) তেজসের নিহত পাইলট উইং কমান্ডার নমনশ স্যাল। দুবাইয়ের এয়ার শো-তে ভেঙে পড়া ভারতীয় যুদ্ধবিমান (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
হিমাচল প্রদেশে, নিজের শহরে ফিরিয়ে আনা হল দুবাইয়ের এয়ার শো-তে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ভারতীয় যুদ্ধবিমান তেজসের পাইলট উইং কমান্ডার নমন স্যালের দেহ। রবিবার দুবাই থেকে উড়িয়ে প্রথমে তাঁর দেহাবশেষ আনা হয় তামিলনাড়ুর সুলুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে সেখানে তাঁর উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন দক্ষিণ এয়ার কমান্ডের আধিকারিকেরা। তার পর দেহাবশেষ হিমাচল প্রদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হিমাচলের কাংড়া জেলার বাসিন্দা নমন বায়ুসেনার দক্ষ পাইলট ছিলেন। দুবাইয়ের এয়ার শো-তে তেজসের কৃৎকৌশল প্রদর্শন করার ভার পড়েছিল তাঁর উপর। তিনিই যুদ্ধবিমান চালাচ্ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় সময় ২টো ৮ মিনিটে বিমানটি ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় নমনের। বায়ুসেনার তরফে বিবৃতি জারি করে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছিল। রবিবার বায়ুসেনা জানিয়েছে, পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় হিমাচল প্রদেশে উইং কমান্ডারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সেই মতো আয়োজন করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজসের ব্যর্থতার হার অতি সামান্য। ২৪ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার তেজস ভেঙে পড়ল। কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। তবে ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিশেষ কৌশল প্রদর্শনের সময় তেজস এক বার শূন্যে কাত হয়ে গিয়েছিল। তার পর তা সোজা করেন পাইলট। তার পর আবার তা উল্টে যায়। এর পর আর যুদ্ধবিমানটিকে সোজা করে উপরে তোলা যায়নি। দ্রুত গতিতে তা নীচের দিকে নেমে যায় এবং মাটিতে আছড়ে পড়ে। মুহূর্তে আগুনে বিস্ফোরণে ছাই হয়ে যায় সব। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
কেউ কেউ ভিডিয়ো দেখে দাবি করেছেন, শেষ মুহূর্তে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন তেজসের পাইলট। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত বিমানটিকে উপরে তোলার মরিয়া চেষ্টা করে যান তিনি। সেই কারণে হয়তো দেরি হয়ে গিয়েছিল।
নমনের স্ত্রীও বায়ুসেনার অফিসার। তাঁর বাবা আগে ভারতীয় সেনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে শিক্ষা বিভাগে যোগ দেন। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। বাবা-মা, স্ত্রী ছাড়াও ছ’বছরের কন্যা রয়েছে এই উইং কমান্ডারের।