সুড়ঙ্গেই বন্দি সুজিত, খোঁজ নিলেন মোদী

শুক্রবার সন্ধে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ খেলতে গিয়ে নলকূপের জন্য খোঁড়া গর্তে পড়ে যায় সুজিত। সোমবার রাত পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা যায়নি। আজ টুইট করে সুজিতের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:০২
Share:

সুড়ঙ্গে আটকে সুজিত। ছবি: সেন্থিলকুমারের টুইটার থেকে

কেটে গিয়েছে ৭২ ঘণ্টা। তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লিতে ১০০ ফুট গভীর সুড়ঙ্গের ভিতরে বন্দি তিন বছরের খুদেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এখন ওই গর্তের পাশে সমান্তরাল আর একটি গর্ত খুড়ে সুজিত উইলসনের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা হচ্ছে।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ খেলতে গিয়ে নলকূপের জন্য খোঁড়া গর্তে পড়ে যায় সুজিত। সোমবার রাত পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা যায়নি। আজ টুইট করে সুজিতের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লিখেছেন, ‘‘উদ্ধারকাজ নিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে। সুজিতের জন্য প্রার্থনা করছি। ওকে উদ্ধারের জন্য সব রকমের চেষ্টা হচ্ছে।’’

পরে পলানীস্বামী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে সব জানিয়েছি। দমকল, জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি তিন জন মন্ত্রী রয়েছেন ঘটনাস্থলে।’’ সুজিত যে গর্তে পড়ে গিয়েছিল, রবিবার থেকেই তার পাশে আর একটি গর্ত খোঁড়া শুরু করেছেন উদ্ধারকারীরা। শিশুটি যেখানে আটকে রয়েছে সেই গভীরতায় পৌঁছনো যাবে ওই গর্তটি দিয়ে। এক সরকারি আধিকারিক জানান, জার্মানি থেকে আনা একটি অত্যাধুনিক গর্ত খোঁড়ার যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই আধিকারিকের বক্তব্য, উদ্ধারকাজ কতটা জটিল তা না বুঝেই বেশি সময় লাগা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তাঁর যুক্তি, যে পরিত্যক্ত গর্তটিতে শিশুটি পড়ে গিয়েছে তার প্রস্থ খুবই কম। তা ছাড়া, শিশুটি পাথুরে মাটির অনেকটা ভিতরে ঢুকে গিয়েছে। ফলে পাশের গর্তটি খোঁড়ার সময়ে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কম্পনের ফলে পরিত্যক্ত গর্তটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

Advertisement

তামিলনাড়ুর ত্রাণ কমিশনার জানিয়েছেন, অঞ্চলটি পাথুরে হওয়ায় গর্ত খুড়তে সময় লাগছে। দু’টি গর্তের মধ্যে একটি ছোট রাস্তা তৈরি করে শিশুটির কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হবে। সব মিলিয়ে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধারকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ত্রাণ কমিশনার বলেন, ‘‘আরও ৪০ ফুট গর্ত খোঁড়া বাকি। তার পরে ছোট একটা রাস্তা কাটতে হবে। ক্যামেরার সাহায্যে শিশুটির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল।’’ শিশুটি যাতে আরও নীচে না নেমে যায়, তার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement