এক রাজ্যে সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করলে অন্য রাজ্যে সেই সুবিধা দাবি করা যাবে না বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানায়, তফসিলি জাতি ও জনজাতির ক্ষেত্রে অন্য রাজ্য থেকে আসা ব্যক্তিরা সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ তখনই দাবি করতে পারবেন, যখন সংশ্লিষ্ট রাজ্যে তাঁর শংসাপত্র থাকবে। অন্য দিকে সরকারি ক্ষেত্রে পদোন্নতিতে সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটি মামলায় প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, তফসিলি জাতি ও জনজাতির উপযুক্ত সংখ্যক প্রতিনিধি সরকারি ক্ষেত্রে নেই। তাঁদের পিছিয়ে পড়া অবস্থার চেয়ে পদোন্নতিতে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি বিবেচনা করা জরুরি।
আদালত জানিয়েছে, এক রাজ্যে তফসিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত হিসেবে শংসাপত্র থাকলে শিক্ষা বা চাকরির উদ্দেশ্যে অন্য রাজ্যে গিয়ে তা ব্যবহার করা যাবে না। তবে অন্য রাজ্যে তফসিলি জাতি ও জনজাতিভুক্তরা রাজধানী দিল্লিতে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন কি না, তা নিয়ে ঐকমত্য হয়নি পাঁচ বিচারপতির।
অন্য দিকে, প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে সওয়াল করার সময়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল জানান, জীবনে এগিয়ে গেলে তফসিলি জাতি ও জনজাতির মানুষের গায়ে জাতের তকমা আটকেই থাকে। ফলে সরকারি ক্ষেত্রে পদোন্নতিতে তাঁদের জন্য সংরক্ষণ প্রয়োজন। অ্যাটর্নি জেনারেলের কথায়, ‘‘তফসিলি জাতি ও জনজাতির মানুষকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে যাবতীয় সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।কারা তফসিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত তা স্থির করার এক্তিয়ার রাষ্ট্রপতি ও সংসদের।’’ ২০০৬ সালে এম নাগরাজ মামলায় সরকারি ক্ষেত্রে পদোন্নতিতে তফসিলি জাতি ও জনজাতির জন্য সংরক্ষণে কিছু শর্ত দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জির শুনানি চলছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। এই মামলায় রায়দান আজ স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।