Beef meat

ফ্রিজে প্লাস্টিকে বাঁধা কাঁচা গরুর মাংস, সুরতে গ্রেফতার রেস্তরাঁ-ম্যানেজার, বাজেয়াপ্ত মাংস

গত ১১ সেপ্টেম্বর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুরতের লালগেট থানার পুলিশ হোদি বাংলো এলাকার একটি রেস্তরাঁয় হানা দেয়। রেস্তরাঁর ফ্রিজ খুললে দেখা যায়, তাতে রয়েছে ছ’টি প্লাস্টিকের ব্যাগ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সুরত শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৫৫
Share:

ফ্রিজে গরুর মাংস, গ্রেফতার রেস্তরাঁর ম্যানেজার। প্রতীকী ছবি।

গুজরাতের সুরতে একটি রেস্তরাঁয় কাঁচা গরুর মাংস রাখার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে রেস্তরাঁর ম্যানেজারকে। ওই রেস্তরাঁর ফ্রিজে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মাংস রাখা ছিল বলে অভিযোগ। গ্রেফতারির পাশাপাশি মাংসও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

Advertisement

গত ১১ সেপ্টেম্বর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুরতের লালগেট থানার পুলিশ হোদি বাংলো এলাকার একটি রেস্তরাঁয় হানা দেয়। রেস্তরাঁর ফ্রিজ খুললে দেখা যায়, তাতে রয়েছে ছ’টি প্লাস্টিকের ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুললে দেখা যায় তাতে রয়েছে কাঁচা মাংস।

পুলিশ এর পর সুরতের পশু চিকিৎসা বিভাগে খবর দেয়। পরীক্ষা করে জানা যায়, প্লাস্টিকের ব্যাগে রয়েছে ১০ কেজি গরুর মাংস। সেই মাংস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয় রেস্তরাঁর ম্যানেজারকে। যদিও ম্যানেজারের দাবি, ওই মাংস গরুর নয়, মোষের। মাংসের নমুনা ফরেনসিক সায়েন্স গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাংসের ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পায় পুলিশ। তাতে দেখা যাচ্ছে, ছ’টি প্যাকেটের মধ্যে দু’টি প্যাকেটে ছিল গরুর মাংস। বাকিগুলোতে ভরা ছিল মোষের মাংস।

লালগেট থানার ওসি এন এইচ ব্রমভট্ট বলেন, ‘‘আমরা সরফরাজ খানকে গ্রেফতার করেছি। তিনি কোথা থেকে গরুর মাংস পেলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই কয়েক জনের নাম আমরা জানতে পেরেছি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছি, ওই মাংস কি রেস্তরাঁয় পরিবেশনের জন্য আনা হয়েছিল না অন্য কোনও কারণে।’’

এই ঘটনার পরই ওই রেস্তরাঁর বাকি শাখাগুলিতেও অভিযান চালায় পুলিশ। তবে অন্য কোনও রেস্তোরাঁ থেকে সন্দেহজনক মাংস উদ্ধার হয়নি বলে সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন