Agnipath Scheme

Agnipath Scheme: জঙ্গির গুলি খেয়েছিলেন, সেই অবসরপ্রাপ্ত সেনা সুব্বা রাও অগ্নিপথ-অশান্তির মূল চক্রী?

সেনায় কাজ করার সুবাদে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ২০১৪ থেকে গুন্টুরে সেনায় চাকরিপ্রার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন সুব্বা রাও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২২ ১৭:২৭
Share:

আভুলা সুব্বা রাও। ফাইল চিত্র।

সেনায় থাকাকালীন জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে গুলি খেয়েও প্রাণ বেঁচে গিয়েছিল তাঁর। সুস্থ হওয়ার পর তাঁকে নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্টের পদে কাজ দেওয়া হয়। ১৫ বছর সেনাতে কর্মরত থাকার পর ২০১১ সালে অবসর নেন। অবসরপ্রাপ্ত সেই সেনাকর্মীই সেকেন্দরাবাদে অগ্নিপথ-অশান্তির মূল হোতা?

Advertisement

দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করার পরই সেনাতে যোগ দেন অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের বাসিন্দা আভুলা সুব্বা রাও। সেনায় থাকাকালীন কখনও সীমান্তে, কখনও আবার জঙ্গি-দমন স্কোয়াডে কর্মরত ছিলেন। সীমান্তে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে গুরুতর আহত হন সুব্বা রাও। তাঁর উরুতে গুলি লাগে। অস্ত্রোপচারের পর মূল স্কোয়াড থেকে সরিয়ে নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্টের পদে কাজ দেওয়া হয়।

সেনায় কাজ করার সুবাদে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ২০১৪ সাল থেকে গুন্টুরের নরসারাওপেটে সাই ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে সেনায় চাকরিপ্রার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। তার পর ধীরে ধীরে তাঁর পরিচিতি বাড়ে এবং সেই সঙ্গে প্রশিক্ষণের সাম্রাজ্যও। গুন্টুর ছাড়িয়ে তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং কেরলেও প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রতি বছর সুব্বা রাওয়ের প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে আড়াই হাজার যুবক সেনায় চাকরির জন্য আবেদন করতেন। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করেছেন সুব্বা রাও। অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে যে ভাবে সেকেন্দরাবাদে অশান্তি ছড়িয়েছিল তার নেপথ্যে নাকি এই সুব্বা রাওই ছিলেন। এমনটাই দাবি করছেন তদন্তকারীরা। রেলপুলিশও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন