সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া মারের সেই দৃশ্য।
রাস্তায় ফেলে এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীকে পিটিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের ইলাহাবাদে। গোটা ঘটানাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে।
সবে তখন সকাল হয়েছে। রাস্তা দিয়ে লোকজনের আনাগোনাও শুরু হয়ে গিয়েছিল। প্রশস্ত একটা গলি। সেই গলি ধরেই সাইকেল চালিয়ে আসছিলেন বছর সত্তরের আব্দুল সামাদ খান। হঠাৎই শক্তসমর্থ দীর্ঘকায় লাল টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তি আব্দুলকে লক্ষ্য করে লাঠি চালাল। আকস্মিক অভিঘাতে টাল সামলাতে পারলেন না তিনি। সাইকেল নিয়ে পড়ে গেলেন। উঠে দাঁড়িয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা যত করলেন, দমাদম লাঠির বাড়ি পড়তে লাগল তাঁর পিঠে, হাতে, মাথায়— সর্বত্র। চিৎকার-চেঁচামেচির আওয়াজ শুনে আশপাশের বাড়ি থেকে কয়েক জনকে উঁকিও মারতে দেখা গেল। শুধু তাই নয়, আব্দুলকে যখন ওই দুষ্কৃতী মারছিল, সে সময় রাস্তা দিয়ে পাশ কাটিয়ে একটা-দুটো বাইক এবং কয়েক জন লোককেও চলে যেতে দেখা গেল। খানিক থামছিলেন বিষয়টা দেখেই, কিন্তু না, আব্দুলকে বাঁচাতে গেলেন না কেউই।
ইতিমধ্যেই, আরও এক জন লাল শার্ট এবং সাদা জামা পরা দুই ব্যক্তিকে দেখা গেল আগের জনের সঙ্গে যোগ দিতে। আব্দুল যখন রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছেন, হাত থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে, ওই দুই ব্যক্তিকেও দেখা গেল একের পর এক লাঠির আঘাত করতে। যত আঘাতের সংখ্যা বাড়ছিল, ততই লুঠিয়ে পড়ছিলেন আব্দুল। একটা সময় মার খেতে খেতে রক্তাক্ত অবস্থায় অচৈতন্য হয়ে পড়েন। সুযোগ বুঝে সেখান থেকে সরেও পড়ে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় আব্দুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু বাঁচেননি তিনি।
দেখুন ভিডিয়ো
পুলিশ জানিয়েছে, যারা আব্দুলকে পিটিয়ে খুন করেছেন, তাদের মধ্যে এক জন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। নাম জুনেইদ। তার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের মামলা রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পত্তির বিবাদ নিয়েই এই ঘটনা। ১০ জনের নামে এফআইআর দায়ের করেছে আব্দুলের পরিবার। তবে দোষীরা এখনও ধরা পড়েনি।
আরও পড়ুন: পুরুষরাও পীড়িত! তাই কি তাঁদের জন্য কমিশন?
আরও পড়ুন: শিবরাজের গাড়িতে হামলা
আব্দুল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টরের পদে ছিলেন। ২০০৬-এ কাজ থেকে অবসর নেন।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)