বিজেপির তোলা জমি-বাড়ি ভেট নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করলেন না আরজেডি নেতৃত্ব। বরং দলের তরফে প্রবীণ নেতা জগদানন্দ সিংহ বললেন, ‘‘যাঁরা জমি-সম্পত্তি দিয়েছেন তাঁদের আপত্তি নেই, যাঁরা নিয়েছেন তাঁদেরও কোনও সমস্যা নেই। বিজেপি নেতার কেন সমস্যা হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না!’’
নিজের থেকে নয়, দলনেতা লালুপ্রসাদের নির্দেশেই আজ আরজেডি সদর দফতরে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন জগদাবাবু। সেখানে হাজির করান আরজেডির দুই প্রাক্তন মন্ত্রী রঘুনাথ ঝা এবং কান্তি সিংহের পরিবারের লোকজনকেও। তাঁদের পাশে বসিয়ে লালু ঘনিষ্ঠ জগদাবাবু বলেন, ‘‘দলের গরিব নেতাকে দলের নেতা-কর্মীরা দান করতেই পারেন। বিজেপির অসুবিধা কোথায়?’’
এমনিতে লালুপ্রসাদের বাড়ির দরজা সকলের জন্য সব সময়ে খোলাই থাকে। কিন্তু গত কয়েক দিনে বিজেপির ক্রমাগত অভিযোগে কিছুটা হলেও চাপে রয়েছেন লালুপ্রসাদ। কথায় কথায় সাংবাদিকদের ডেকে নিজের বক্তব্য জানানোর জন্য তাঁর খ্যাতি থাকলেও লাগাতার কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় এখন তিনি ‘ব্যাকফুটে’। ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে পটনার ১০ নম্বর সার্কুলার রোডের ফটক।
আরও পড়ুন: অভিন্ন জয়েন্ট স্থগিত রাখায় খুশি শিক্ষামন্ত্রী
সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে চলছেন লালু-রাবড়ীর দুই পুত্র, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী প্রসাদ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেজপ্রতাপ। দলের নেতাদেরও এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলতে বারণ করেছে আরজেডি প্রধান। সব মিলিয়ে মাটি-শপিংমল-জমি কেলেঙ্কারিতে প্রথম রাউন্ডে কিছুটা হলেও এগিয়েছে বিজেপি।
এই পরিস্থিতিতে দলের প্রাক্তন মন্ত্রী-সাংসদ, রাজপুত নেতা জগদাবাবুকে যাদব পরিবারের তরফে মাঠে নামিয়েছেন লালুপ্রসাদ। তবে জগদাবাবুর সাফাইয়ে সমস্যা যে মিটবে না তা জানেন তিনি। এবং তা আন্দাজ করেই আরজেডি নেতৃত্ব আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দলীয় সূত্রের খবর, বিশিষ্ঠ আইনজীবী রাম জেঠমালানির সঙ্গে কথাও বলা হচ্ছে। আর বিজেপি নেতা সুশীল মোদীর পিছনে অন্য কোনও ‘বড় মাথা’ রয়েছে বলেও মনে করছেন লালুপ্রসাদ। পরিবারের মধ্যেই কোনও ‘বিভীষণ’ রয়েছেন কিনা তারও খোঁজ চলছে।