‘পঞ্চায়েত’ সিরিজ়ের সচিব অভিষেক ত্রিপাঠী। ছবি: সংগৃহীত।
এ যেন ‘পঞ্চায়েত’ সিরিজ়! তবে পর্দায় নয়, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) বিধায়কের সঙ্গে এ বার বাস্তবে বাদানুবাদে জড়ালেন বিহারের পঞ্চায়েত সচিব। সচিবকে হুমকি দেন বিধায়ক ভাই বীরেন্দ্র। তিনি যদিও গায়ে মাখেননি সে সব। পাল্টা জবাব দিয়েছেন। সেই অডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (আনন্দবাজার ডট কম তার সত্যতা যাচাই করেনি)। এই নিয়ে বিধায়ক বা তাঁর দল আরজেডির তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে এই অডিয়ো প্রকাশ্যে আসতে ভোটমুখী বিহারে বিতর্কের মুখে লালুপ্রসাদ যাদবের দল।
একটি মৃত্যুর শংসাপত্রকে কেন্দ্র করে বাদানুবাদে জড়ান বিধায়ক এবং সচিব। ঠিক যেমন ‘পঞ্চায়েত’ সিরিজ়ে ফুলেরা গ্রামে মুখোমুখি হয়েছিলেন বিধায়ক চন্দ্রকিশোর সিংহ এবং সচিব অভিষেক ত্রিপাঠী। অডিয়োতে কথোপকথন ছিল অনেকটা এ রকম—
আরজেডি বিধায়ক ভাই বীরেন্দ্র। — ফাইল চিত্র।
অবিনাশ কুমার নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরির কাজ কতটা হয়েছে, সেই খোঁজ নিতে সচিবকে ফোন করেন বিধায়ক। সচিব ফোনে কণ্ঠস্বর শুনে চিনতে পারেননি বিধায়ককে। তিনি পরিচয় জিজ্ঞেস করেন।
বিধায়ক: ভাই বীরেন্দ্রকে চেনেন না? তুমি বলছ, আমি নিজের পরিচয় দেব?
সচিব: নিজের পরিচয় দিলে তবে না আপনাকে চিনব।
বিধায়ক: আপনি কি ইংল্যান্ড থেকে এসেছেন? মানেরের বিধায়ককে চেনেন না? সারা দেশ আমাকে চেনে।
সচিব: বিধায়কজি, বলুন!
বিধায়ক: জুতো দিয়ে মারব। এটা রেকর্ড করুন, তার পর যা প্রয়োজন করুন। সারা দেশ আমাকে চেনে। ফোন ধরেই অভিবাদন জানানো উচিত ছিল।
তাড়াতাড়ি শংসাপত্র তৈরি করান। অনেক দিন আগে আবেদন করা হয়েছে। খারাপ ভাবে কাজ করবেন না। আপনি একজন কর্মী।
সচিব: আমার সঙ্গে ভাল ভাবে কথা বললে, আমিও তা-ই বলব। যা খুশি করুন, আমি ভয় পাই না। খারাপ ভাবে কথা বললে, আমিও তা-ই বলব। কেউ এখানে ভয় পাবে না।
তাতে রেগে গিয়ে বীরেন্দ্র জানান, স্থানীয় বিধায়কের নাম না জানলে সেখানে কাজ করার কোনও অধিকার নেই।
সচিব: বদলি করে দিন।
বিধায়ক: বদলিতেই থামবে না। বদলি তো ছোট ব্যাপার।
সচিব: কাজের বিষয়ে কথা বলুন। শংসাপত্রের আবেদন নিয়ে প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। কাজ হলে জানতে পারবেন।