Road Loot

বিহারে আস্ত রাস্তা লুট গ্রামবাসীদের, পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিধায়ক

তিন মাস আগে সড়কের উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) বিধায়ক সতীশকুমার দাস। তিন কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কথা। যদিও তৈরির সময়েই লুট হয়ে গিয়েছে উপকরণ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

পটনা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৪০
Share:

রাস্তা তৈরির জিনিস লুট করছেন গ্রামবাসীরা। ছবি: এক্স।

রাস্তায় লরি থামিয়ে মাছ লুট, পেঁয়াজ লুট, টম্যাটো লুট— এ সবের কথা প্রায়ই শোনা যায়। তা বলে আস্ত রাস্তা লুট! এ বার তাই হল বিহারের জেহানাবাদে। আস্ত রাস্তাই লুট করলেন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আনন্দবাজার অনলাইন অবশ্য এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রাস্তা তৈরির সময় নির্মাণের সরঞ্জাম নিয়ে পালাচ্ছেন স্থানীয়রা। ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ স্থানীয় বিধায়কের।

Advertisement

জেহানাবাদের মখদুমপুর ব্লকের ঘটনা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী সড়ক যোজনার অধীনে রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। কাজের মাঝেই স্থানীয়েরা রাস্তা তৈরির জিনিসপত্র লুট করে নিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। তিন মাস আগে সড়কের উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) বিধায়ক সতীশকুমার দাস। তিন কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কথা। যদিও তৈরির সময়েই লুট হয়ে গিয়েছে উপকরণ।

এর আগেও বিধায়কের উদ্যোগে এই রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মাঝপথেই থেমে গিয়েছিল কাজ। অভিযোগ, যত বার এই এলাকায় রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা হয়েছে, তত বার উপকরণ লুট করে নিয়েছেন স্থানীয়েরা। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কর্মী এবং সরকারি আধিকারিকেরা নীরব হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বিধায়ক সতীশকুমার একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের সঙ্গে দেখা করে তিনি মুখ্যমন্ত্রী সড়ক যোজনার আওতায় এই রাস্তা নির্মাণের অনুমোদন পান। তিন কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে বেশির ভাগেরই কাজ হয়ে গিয়েছে। শুধু অদান বিঘা গ্রামের কাজ আটকে রয়েছে। সেখানে গ্রামবাসীরা ব্যক্তিগত কাজের জন্য রাস্তার উপকরণ লুট করছেন। রাস্তার বাকি কাজ যাতে নির্বিঘ্নে হয়, সেই মর্মে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন বিধায়ক।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন