—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অসমের গোলাঘাট জেলায় একটি রয়্যাল বেঙ্গল বাঘকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। বাঘটির চামড়া ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে। উপড়ে নেওয়া হয়েছে কান, দাঁত। থাবা কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে, একটি পূর্ণবয়স্ক রয়াল বেঙ্গল বাঘকে কী ভাবে পিটিয়ে মারা হল? তবে কি নেপথ্যে চোরাচালান? বন দফতরের কর্মীরা মনে করছেন, কী ভাবে বাঘটির মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে। এই ঘটনায় বন দফতরের তরফে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে তাঁদের গবাদি পশু খেয়ে যাচ্ছিল বাঘটি। এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বোকাখাত মহকুমার দুসুটিমুখে একটি ধানের ক্ষেতে লুকিয়ে ছিল পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘটি। তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরেন স্থানীয়েরা। এর পরে লাঠি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারতে থাকেন। তাতেই মারা যায় বাঘটি। এক স্থানীয়ের অভিযোগ, বাঘটির বিষয়ে বন দফতরকে জানিয়েও লাভ হয়নি।
অসমের মুখ্য বন্যপ্রাণ ওয়ার্ডেন (সিডব্লিউএলডব্লিউ) বিনয়কুমার গুপ্ত বলেন, ‘‘বুধবার সকালে বাঘটি লোকালয়ে ঢোকে। যতটুকু জানতে পেরেছি, তাকে ধরা হয়েছে। কী ভাবে, জানি না। তার নখ, দাঁত উপড়ে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। কী ভাবে করা হল, তা খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা অতীতে ঘটেছে কি না, জানা যায়নি।’’ তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হচ্ছে।
বাঘটির খুনের ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। একটি পূ্র্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গলকে কী ভাবে কাবু করা হল? তবে কি তাকে ঘুমাপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়েছিল? না কি তীর মারা হয়েছিল? এর পরেই চোরাচালানের অভিযোগ জোরালো হয়ে উঠছে। বনকর্মীদের একাংশ মনে করছে, চোরাচালের উদ্দেশ্যেই বাঘটির দাঁত, নখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে। চামড়া ছেঁড়া হয়েছে। এ ভাবে বাঘটিকে হত্যা করার নিন্দা করেছেন খুমতাইয়ের বিধায়ক মৃণাল সালকিয়া। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।