এ বছর জম্মুতে শীর্ষ বৈঠক করবে আরএসএস। এই প্রথম সে রাজ্যে বার্ষিক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তিন দিনের এই বৈঠক হওয়ার কথা জুলাই মাসে।
জম্মুতে আরএসএস পিডিপি-বিরোধী রাজনীতি করছে বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান বিজেপির জোটসঙ্গী ও মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। কিন্তু আরএসএস মনে করছে, মেহবুবা কাশ্মীরের পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না। তার উপর যে জম্মুতে বিজেপি-আরএসএসের শক্ত ভিত আছে, সেখানেও মেহবুবা দাগ কাটতে পারেননি। এই অবস্থায় সেই অঞ্চলে প্রভাব ধরে রাখতে ও কর্মীদের বার্তা দিতে জম্মুতেই প্রচারকদের বার্ষিক বৈঠক করতে চায় আরএসএস। ১৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই বৈঠকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ তো থাকবেনই। থাকবেন দেশ থেকে আসা সঙ্ঘের অনুমোদিত সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। অমিত শাহ বলেন, ‘‘কাশ্মীরে পরিস্থিতির উন্নতি হবেই। সেটা নরেন্দ্র মোদী সরকারের দায়িত্ব। আর আমাদের বাহিনী সব রকম পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম।’’
কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর উপর এমনিতেই চাপ রয়েছে। কিন্তু সঙ্ঘ সে রাজ্যে নিজেদের রাশ আলগা করতে চাইছে না। তাই অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যেই জম্মুতে বিতর্কিত ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির দাবিতে আরএসএস নেতা আদালতে মামলা করেছেন। ’৪৭ সালে পাওয়া কাশ্মীরের নাগরিক অধিকার তুলে দেওয়ার দাবিতে মামলা করেছে জম্মু-কাশ্মীর বিচার মঞ্চ। জম্মু-কাশ্মীরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আরএসএস থেকে বিজেপিতে আসা বিজেপি নেতা রাম মাধবও স্পষ্ট করেছেন, কোনও সন্ত্রাসবাদীকেই রেয়াত করা হবে না। বিদেশের হোক বা ভারতের, সব সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তবে যাঁরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের ভিন্নভাবে দেখা হবে।
পিডিপির সঙ্গে বিজেপির জোটের পর আরএসএস মনে করেছিল, উপত্যকাতেও সঙ্ঘ আর দলের প্রভাব বাড়বে। কিন্তু উপত্যকায় অশান্তি ও সীমান্তপারের গোলাবর্ষণের জন্য সেই প্রভাব জম্মুতেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। কাশ্মীরের অশান্তি ও তার উপর জম্মুকে অবহেলার জন্য সেখানেও গেরুয়া শিবিরের অসন্তোষ বাড়ছে। সঙ্ঘ মনে করছে, কৌশল নতুন করে পর্যালোচনা করা দরকার।