তাদের সদর দফতরে বসে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয় বলে মন্তব্য করায় তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনকে আইনি নোটিস পাঠাল আরএসএস। তাদের দাবি, সাত দিনের মধ্যে নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে ডেরেককে। অন্যথায় ডেরেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হবে বলে ওই নোটিসে বলা হয়েছে। রাজ্যসভায় তৃণমূলের সচেতক ডেরেক অবশ্য ক্ষমা চাওয়া বা মন্তব্য প্রত্যাহারের প্রশ্ন প্রকারান্তরে উড়িয়েই দিয়েছেন।
আরএসএসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র মনমোহন বৈদ্য ডেরেকের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেছেন, “হাস্যকর এবং ভিত্তিহীন! এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করে কারও ছাড় পাওয়া উচিত নয়। সেই কারণেই মানহানির মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” কয়েক দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পিছনে কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘র’-এর হাত থাকতে পারে। তার জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি তাঁর ব্লগে লিখেছিলেন, এই ধরনের মন্তব্য হতাশার বহিঃপ্রকাশ। পাশাপাশি, মমতার জাতীয়তাবোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। সে দিনই তাঁদের দলের ওয়েবসাইটে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ডেরেক বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল আরএসএস ঘনিষ্ঠ। আরএসএসের সদর দফতরে বসেই এ ধরনের বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়।
এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই আরএসএসের পশ্চিমবঙ্গ শাখা নাগপুরে সদর দফতরের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করে। নাগপুরই ডেরেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে। সঙ্ঘকে এ ব্যাপারে আইনি সহায়তা দিচ্ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় (জলু) এবং সুপ্রিম কোর্টের এক প্রাক্তন বিচারপতি। ডেরেক অবশ্য বুধবার এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “উটকো লোকজন দিয়ে যে বিভাজনকামী, সাম্প্রদায়িক সংগঠন তৈরি হয়েছে, তাদের কথার কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়ারই অর্থ হয় না!”
তবে দক্ষিণবঙ্গে সঙ্ঘের সহ-প্রান্ত প্রচারক বিদ্যুৎ মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “তৃণমূল সাংসদকে তাঁর বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ দাখিল করতে হবে বা ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। সাত দিনের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে ডেরেক সাহেব মামলার জন্য তৈরি থাকুন!”