ফাইল চিত্র।
তথ্যের অধিকার আইন (আরটিআই)-এর সংশোধনী আনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাহুল গাঁধী। একটি টুইটার বার্তায় রাহুল লেখেন, মানুষের কাছ থেকে সত্যিটা লুকিয়ে রাখতে চাইছে বিজেপি সরকার। তাই এই সংশোধনীর প্রস্তাব। ক্ষমতাসীন কাউকে প্রশ্ন করার অধিকারটুকুও কেড়ে নিতে চাইছে বিজেপি, এমনটাই অভিযোগ করেন কংগ্রেস সভাপতি।
তথ্য জানার অধিকার আইনে বিজেপি যে পরিবর্তনের কথা বলেছে, তা দেশের প্রতিটি নাগরিকের বিরোধিতা করা উচিত বলেই উল্লেখ করেন রাহুল। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিও কেন্দ্রের আনা সংশোধনীর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, জনগণের পরিশ্রমের ফল এই আরটিআই আইন। তাঁর দল সংসদের বাইরে ও ভিতরে সর্বত্রই এই বিলে কেন্দ্রের সংশোধনী আনার বিরোধিতা করবে।
তথ্যের অধিকার আইন সংক্রান্ত বিলে চলতি বাদল অধিবেশনে কিছু রদবদলের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। প্রস্তাবিত পরিবর্তনে রাজ্য ও কেন্দ্রের তথ্য কমিশনারদের বেতন ও মেয়াদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা। একেই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে উল্লেখ করছেন বিরোধীরা। তথ্যের অধিকার আইনের সংশোধনীতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, পাঁচ বছর মেয়াদে থাকা তথ্য কমিশনারদের সরকার নির্ধারিত শর্তাবলী মানতে হবে। তাঁদের বেতন নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারও কেন্দ্রেরই।
আরও খবর: সনিয়াজি অঙ্কে কাঁচা, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে কটাক্ষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
প্রস্তাবিত বিলটির সংশোধনীর বিরোধিতা করে প্রচার চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। নির্বাচন কমিশন এবং তথ্য কমিশনকে একই জায়গায় রাখাটা অত্যন্ত অন্যায়। কারণ নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংগঠন। স্বাধীন ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করাই এঁদের কাজ। তথ্য কমিশন একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। এদের কাজ তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় আসা সব অভিযোগ ও আবেদনের দিকে নজর দেওয়া। তথ্য কমিশনকে ছোট করা হচ্ছে বলেও বিরোধিতা জানান নেটিজেনরা।
তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত আইন নিয়ে কাজ করা কর্মীরাই নন, দুর্নীতিবিরোধী মঞ্চের বহু কর্মী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দুর্নীতির চক্রান্ত প্রকাশ্যে এনে প্রাণ হারানো মানুষের পরিবারও এই সংশোধনীর বিরোধিতা করেছেন।
আরও পড়ুন: অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত লোকসভায়, আটঘাট বাঁধছে বিরোধীরা