Vinesh Phogat

আগুন কখনও নেবেনি! অবসর ভেঙে কুস্তিতে ফিরলেন বিনেশ, লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সে খেলতে চান

অলিম্পিক্সের অধরা পদক পেতে মরিয়া বিনেশ ফোগাট। অবসর ভেঙে ফিরলেন কুস্তিগির। জানিয়েছেন, লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সে অংশ নিতে চান তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:০২
Share:

বিনেশ ফোগাট। — ফাইল চিত্র।

দু’বার চেষ্টা করেও সফল হননি। আরও এক বার অলিম্পিক্সের অধরা পদক পেতে মরিয়া বিনেশ ফোগাট। অবসর ভেঙে ফিরলেন কুস্তিগির। শুক্রবার জানিয়েছেন, লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সে অংশ নিতে চান তিনি। পাশে এ বার পেয়েছেন ছ’মাসের ছেলেকেও, যা আলাদা শক্তি হিসাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বিনেশ।

Advertisement

প্যারিস অলিম্পিক্সের ফাইনালে উঠলেও মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি হওয়ার কারণে বাতিল করা হয় বিনেশকে। রুপোও পাননি তিনি। সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালতে আবেদন করেও লাভ হয়নি। তার আগে ২০১৬ অলিম্পিক্সের কোয়ার্টার ফাইনালে হাঁটুতে গুরুতর চোট পান। প্যারিসে হতাশ হওয়ার পর কুস্তি ছেড়ে রাজনীতিতে মন দেন বিনেশ। হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে জুলনা কেন্দ্র থেকে জেতেন। তবে আবার কুস্তিতে ফিরছেন তিনি।

এ দিন সমাজমাধ্যমে বিনেশ লিখেছেন, “প্যারিসই শেষ কি না, সেটা লোকে বার বার জিজ্ঞাসা করেছে। দীর্ঘ দিন আমার কাছে কোনও উত্তর ছিল না। কুস্তির ম্যাট থেকে, এমনকি চাপ, প্রত্যাশা এবং উচ্চাশা থেকেও দূরে থাকা দরকার ছিল। কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম বার নিজেকে শ্বাস নিতে দিলাম। আমার যাত্রাপথটাকে আরও এক বার তাকিয়ে দেখলাম। সাফল্য, হতাশা, আত্মত্যাগ— এমন জিনিস যা বিশ্ব কোনও দিন দেখেনি। পিছন ফিরে দেখতে গিয়ে আমি সত্যিটা খুঁজে পেলাম। এখনও খেলাটা ভালবাসি। এখনও লড়াইয়ে নামতে চাই।”

Advertisement

গত জুলাইয়ে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন বিনেশ। তাঁর স্বামী সোমবীর রাঠিও কুস্তিগির। বিনেশ আরও লিখেছেন, “নীরবতার মাঝে একটা ভুলে যাওয়া জিনিস খুঁজে পেয়েছি, ‘আগুন কখনও নেবেনি’। সেটা চাপা ছিল আওয়াজ এবং বিধ্বস্ততার নীচে। শৃঙ্খলা, দৈনন্দিন কাজ, লড়াকু মনোভাব— এগুলো আমার জীবনের মধ্যেই রয়েছে। যতই দূরে চলে যাই না কেন, আমার একটা অংশ কুস্তির ম্যাটে থেকে গিয়েছে।”

সন্তানকে পাশে নিয়েই অলিম্পিক্সের লড়াই শুরু করতে চান বিনেশ। লিখেছেন, “অলিম্পিক্সের দৌড় শুরু করলাম এমন একটা হৃদয় নিয়ে, যা অকুতোভয় এবং এমন মানসিকতা নিয়ে, যা ঝুঁকতে রাজি নয়। এ বার আমার ছেলে দলে রয়েছে। অলিম্পিক্সের যাত্রায় ও আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা এবং ছোট্ট একজন চিয়ারলিডার।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement