(বাঁ দিক থেকে) সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লিয়োনেল মেসি এবং শাহরুখ খান। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
শুক্রবার রাতে কলকাতায় পা রাখবেন লিয়োনেল মেসি। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার কয়েক ঘণ্টার জন্য শহরে আসবেন। কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। তাঁর জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বিধাননগর পুলিশ।
কলকাতায় মেসি নতুন নন। ২০১১ সালের ২ সেপ্টেম্বর যুবভারতীতে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ফিফা ফ্রেন্ডলি খেলেছিল আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ছিলেন মেসিই। তখনই তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেয়ে গিয়েছিলেন। তবু পার্থক্য রয়েছে। কলকাতায় খেলে যাওয়া মেসির বিশ্বকাপ ছিল না। এ বারের মেসি বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। ট্রফি এখনও তাঁর দখলে। কয়েক দিন আগে ইন্টার মায়ামিকে প্রথম বার এমএলএস কাপ চ্যাম্পিয়ন করেছেন। মেসির যে সফরসূচি জানা গিয়েছে, তাতে এ শহরে বিশ্রামের তেমন সুযোগ নেই লিয়োর। কয়েক ঘণ্টা হয়তো দু’চোখের পাতা এক করবেন না তাঁর ভক্তেরাও।
লিয়োনেল মেসিকে স্বাগত জানিয়ে শহরে হোর্ডিং। — নিজস্ব চিত্র।
কলকাতায় পেলে এসেছেন। দিয়েগো মারাদোনা এসেছেন। মেসিও এসেছেন। আবার আসছেন। শুক্রবার রাত ১.৩০ মিনিটে কলকাতার মাটি ছোঁবে মেসির বিমান। হিসাব অনুযায়ী অবশ্য শনিবার হয়ে যাবে। কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়েই তৈরি হয়ে নিতে হবে তাঁকে। শনিবার সকাল ৯.৩০ থেকে ১০.৩০ পর্যন্ত মিট অ্যান্ড গ্রিট পর্ব। সকাল ১০.৩০ থেকে ১১.১৫ ভার্চুয়ালি নিজের মুর্তি উন্মেচন করবেন এলএম টেন। ১১.১৫ মিনিটে হোটেল থেকে যুবভারতীতে রওনা দেবেন। ১১.৩০ মিনিটে মাঠে আসবেন শাহরুখ খান। দুপুর ১২টায় পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। দুপুর ১২ থেকে ১২.৩০ পর্যন্ত সেলিব্রিটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ, সংবর্ধনা এবং সংক্ষিপ্ত আলাপ পর্ব। অনুষ্ঠান শেষে বিমানবন্দরে চলে যাবেন মেসি। দুপুর ২টোয় হায়দরাবাদের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সব মিলিয়ে সাড়ে ১২ ঘণ্টা কলকাতায় থাকবেন মেসি।
শনিবার মেসি ছাড়াও যুবভারতীর অনুষ্ঠানে থাকবেন বহু বিশিষ্ট মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী, শাহরুখ, সৌরভেরাও থাকবেন যুবভারতীতে। তাই নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। মূল দায়িত্ব বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের হলেও কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ সব রকম ভাবে সাহায্য করবে। বিভিন্ন পুলিশ জেলা কমিশনারেট থেকে ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর, কনস্টেবলদের নিয়ে আসা হবে। থাকবে র্যাফ। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০০ পুলিশকর্মী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। নিয়ন্ত্রণ করা হবে যান চলাচল। গাড়ি রাখার ক্ষেত্রেও শুক্রবারই নির্দেশিকা জারি করেছে বিধাননগর পুলিশ।
প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। অপেক্ষা শুধু মেসির আসার। ২০১১-র পর ২০২৫। ১৪ বছর পর আবার শহরের ফুটবলপ্রেমীরা দেখার সুযোগ পাবেন বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে।