Bengaluru Cafe Blast Case

বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণে জড়িত দুই অভিযুক্তের সন্ধান দিলে পুরস্কার, ঘোষণা এনআইএ-র

এনআইএ আরও জানিয়েছে, শাজিব এবং আব্দুল তাঁদের পরিচয় গোপন করে রেখেছেন। মহম্মদ জুনেদ সাঈদ ছদ্মনামটি ব্যবহার করেন শাজিব এবং আব্দুল হিন্দু পরিচয়ের ছদ্মবেশে ক্যাফেতে ঢোকেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ২৩:৩৩
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে দুই সন্দেহভাজনের বিষয়ে পুলিশকে হদিস দিতে পারলেই মিলবে ২০ লক্ষ টাকার পুরস্কার। শুক্রবার এমনই ঘোষণা করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তারা একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিদের মধ্যে এক জনের তথ্যও জানা থাকলে যে কোনও ব্যক্তি সেটি info.blr.nia@gov.in-এই ইমেল আইডির মাধ্যমে সংস্থাকে খোঁজ দিতে পারবেন। অথবা ফোন করেও এনআইএ-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন তাঁরা। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য এই পদক্ষেপ করল এনআইএ।

Advertisement

এই ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল শরিফকে ঘটনার ২৭ দিন পর পুলিশ গ্রেফতার করলেও, দু’জনের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তারা। দুই অভিযুক্তদের নাম মুসাভির শাজ়িব হুসেন এবং আবদুল মাঠিন আহমেদ। তাঁরা দু’জনেই ২০২০ সালের একটি সন্ত্রাসবাদের মামলায় জড়িত ছিলেন। এনআইএ-র দাবি, মুজ়াম্মিলের সঙ্গে শাজ়িব এবং আব্দুল এই ঘটনার সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের হদিস পাওয়ার জন্য জনসাধারণের সাহায্য চায় এনআইএ।

এনআইএ আরও জানিয়েছে, শাজিব এবং আব্দুল তাঁদের পরিচয় গোপন করে রেখেছেন। মহম্মদ জুনেদ সাঈদ ছদ্মনামটি ব্যবহার করেন শাজিব এবং আব্দুল হিন্দু পরিচয়ের ছদ্মবেশে ক্যাফেতে ঢোকেন। তিনি ভিগনেশ নামে জাল আধার কার্ড ব্যবহার করেছেন বলে দাবি এনআইএ-র।

Advertisement

গত ১ মার্চ রামেশ্বরম ক্যাফেতে ঢুকে বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ রেখে আসেন এক ব্যক্তি। তাতে টাইমার সেট করা ছিল। এক ঘণ্টা পর হয় বিস্ফোরণ। তাতে ১০ জন আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিস্ফোরকের মাত্রা খুব বেশি না থাকায় অভিঘাত তেমন জোরালো হয়নি। ৩ মার্চ ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, ওই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল। ২৭ দিন পর মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে খুঁজতে কর্নাটকের ১২টি এলাকা, তামিলনাড়ুর পাঁচটি এলাকা এবং উত্তরপ্রদেশের এক জায়গায় তল্লাশি চালান এনআইএর আধিকারিকেরা।

গত ১৭ মার্চ কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা এই তিন অভিযুক্তের বাড়ি, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অন্যান্যদের বাড়ি, দোকান প্রভৃতি এলাকায় তল্লাশি চালান। এই অভিযানের সময়ে বেশ কিছু ডিভাইস এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এর আগে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তাঁর নাম শাবির। তাঁর সাম্প্রতিক গতিবিধি জানার পরেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার পর গ্রেফতার করা হয় ঘটনার মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিলকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন