JF-17 jet engine

পুতিন পাকিস্তানকে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন বিক্রি করলে উপকৃত হবে ভারত! কেন দাবি করল রাশিয়া?

রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে দুই দেশ আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন নিয়ে মস্কো-ইসলামাবাদ আলোচনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:১১
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি পাকিস্তানকে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন, তা হলে আদতে ভারতেরই লাভ হবে। সোমবার এই দাবি করেছেন রাশিয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘প্রিমাকভ ইনস্টিটিউট’-এর কর্তা পিয়েত্র টপিচকানভ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

Advertisement

চিনের তৈরি যুদ্ধবিমান জেএফ-১৭ ব্যবহার করে পাকিস্তান। সেই যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত আরডি-৯৩ ইঞ্জিন নির্মাণ করে রাশিয়া। পাকিস্তান বায়ুসেনা মস্কোর সঙ্গে সেই ইঞ্জিন কিনতে সমঝোতা চূড়ান্ত করেছে বলে সম্প্রতি প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি করা হয়েছিল। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে দুই দেশ আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। সেখানে পাকিস্তানকে কী ভাবে সামরিক সহযোগিতা দিতে মস্কো রাজি হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পুতিন সরকার জানিয়েছে, এখনও এই বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

পিয়েত্রর দাবি, পুতিনের সরকার যদি শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন বিক্রি করে তবে ভারতের দু’টি লাভ হবে। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথমত, এর ফলে প্রমাণিত হবে যে চিন এবং পাকিস্তান এখনও রাশিয়ান ইঞ্জিনের উপর নির্ভরশীল। তারা আরডি-৯৩-এর উপযুক্ত বিকল্প নির্মাণে সক্ষম হয়নি। দ্বিতীয়ত, নতুন বিমানটি ভারতের কাছে পরিচিত এবং অনুমানযোগ্য হবে। কারণ মস্কো এবং নয়াদিল্লি দীর্ঘ দিন ধরে যৌথ উদ্যোগে বিমান নির্মাণ করছে।’’ প্রসঙ্গত, রুশ সহযোগিতায় ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য নির্মিত মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানও একই গোত্রের ইঞ্জিন ব্যবহার করে। আগামী ডিসেম্বরে ভারত এবং রাশিয়ার বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তাতে যোগ দিতে আসতে পারেন পুতিন। সেখানে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement