India-China Relationship

শান্তিই মূল লক্ষ্য, বৈঠকে চিনা মন্ত্রীকে জানালেন জয়শঙ্কর

২০১৯ সালের পরে ফের কোনও চিনা বিদেশমন্ত্রী ভারত সফর এলেন। উল্লেখ্য, ভারত সফরের আগে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন গ্যাং।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৩ ০৬:১৩
Share:

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ফাইল চিত্র।

বার বার মুখে শান্তির কথা বললেও ভারত এবং চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন অঞ্চলে থানা গেড়ে বসে রয়েছে লাল ফৌজ। গত আড়াই বছর ধরে ভারতের টহলদারির এলাকাও তারা দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে আজ জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট পার্শ্ববৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সীমান্তে শান্তি ফেরানো নিয়ে তিনি গ্যাংয়ের উপরে চাপ তৈরি করেছেন বলে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন।

Advertisement

পরে সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, “চিনা মন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটাই ছিল তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম বৈঠক। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতিই ছিল আজকের বৈঠকের প্রধান অংশ। জানানো হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে আসল সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি ভাবে, কোনও জড়তা ছাড়াই আলোচনা করতে হবে। তা না-হলে সম্পর্কে স্বাভাবিকতা ফিরবে না। আমাদের কথাবার্তার মূল লক্ষ্য সীমান্তে শান্তি ফেরানো।”

২০১৯ সালের পরে ফের কোনও চিনা বিদেশমন্ত্রী ভারত সফর এলেন। উল্লেখ্য, ভারত সফরের আগে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন গ্যাং। তাঁর বক্তব্য ছিল, প্রতিবেশী দুই দেশ প্রাচীন সভ্যতার অধিকারী। সুস্থ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে জোর দিয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালের ১৫ জুন লাদাখের গলওয়ানে চিনা আগ্রাসনের পরে ভারত-চিন সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে। নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরাতে দু’দেশের সামরিক পর্যায়ে একাধিক বৈঠক সত্ত্বেও চলতি বছরে অরুণাচল প্রদেশে ফের চিনা আগ্রাসনের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে চিনের কড়া সমালোচনা করেছিল নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে দুই বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

Advertisement

এ দিকে চিন নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে কেন্দ্রকে তোপ দেগে যাওয়া কংগ্রেসের মহিলা এবং যুব শাখা আজ চিনা বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। সেই প্রতিবাদের জেরে বিজয় চকে পুলিশ বাড়ানো হয় এবং ব্যারিকেড দেওয়া হয়। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “২০২০ সালে চিন যেমন একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করেছিল, তার প্রতিবাদ জানিয়েছে কংগ্রেস। শুধুমাত্র পূর্ব লাদাখ নয়, চিন অরুণাচল প্রদেশেও সেনা অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন