(বাঁ দিকে) অম্বুমণি রামডস এবং এস রামডস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
তেলঙ্গানার ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র পরে এ বার পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে ভাঙনের মুখে দক্ষিণ ভারতের আর এক রাজনৈতিক দল ‘পট্টালি মক্কাল কাচ্চি’ (পিএমকে) । বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র সহযোগী দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান এস রামাডস বৃহস্পতিবার তার পুত্র তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্বুমণিকে আগাছার সঙ্গে তুলনা করে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন। শুক্রবার অন্বুমণি শিবির বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে চিহ্নিত করে পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
উত্তর এবং মধ্য তামিলনাড়ুর প্রভাবশালী অনগ্রসর (ওবিসি) জনগোষ্ঠী ভান্নিয়ারদের মধ্যে পিএমকের সমর্থন প্রায় একচেটিয়া। সেই দলের প্রতিষ্ঠাতার পুত্র অন্বুমণি প্রথম ইউপিএ জমানায় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সরকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তাঁর ‘সিগারেট বিরোধী’ পদক্ষেপ সে সময় জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল। পরবর্তী সময় বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন পিএমকের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান এস রামডস। গত লোকসভা ভোটেও দু’দল এক সঙ্গে লড়েছিল। আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই তামিলনাড়ুতেও বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগে রাজনৈতিক উত্তরাধিকারের দ্বন্দ্বে ভাঙনের মুখে পড়েছে পিএমকে।
গত তিন দশক ধরে অন্বুমণিই দলের ‘পরবর্তী প্রধান’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন দলের অন্দরে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনিই ছিলেন দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি। কিন্তু সম্প্রতি সমীকরণ বদলাতে শুরু করে। এস রামাডস তাঁর কন্যা গান্ধীমতিকে (শ্রীগান্ধী নামে দলের অন্দরে পরিচিত) কয়েক মাস আগে সক্রিয় রাজনীতিতে নিয়ে আসেন। এর পরে গান্ধীমতির পুত্র পি মুকুন্দনকে দলের যুবশাখার সভাপতি নিযুক্ত করেন। এর পরে অন্বুমণির স্ত্রী সক্রিয় রাজনীতিতে আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও প্রকাশ্যে সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছিলেন এস রামডস। অগস্টের গোড়া থেকে বাবাকে এড়িয়ে দলের আর এক প্রথম সারির নেতা কে বালু এবং অন্য অনুগামীদের নিয়ে জেলায় জেলায় বৈঠক করতে শুরু করেছিলেন অন্বুমণি। তারই পরিণতিতে শেষ পর্যন্ত বহিষ্কৃত হতে হল তাঁকে। প্রসঙ্গত, এর আগে দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পলানিস্বামী এরং পন্নিরসেলভমের দ্বন্দ্বে বিজেপির আর এক সহযোগী দল এডিএমকে ভেঙেছিল তামিলনাড়ুতে।