অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব যোগীর শিবিরে

এই ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিংহের এখনই ইস্তফা দেওয়া উচিত বলে মনে করে কংগ্রেস। আজ গোরক্ষপুরের ওই হাসপাতাল পরিদর্শনে যান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৭ ০৪:০৭
Share:

গোরক্ষপুরের সরকারি হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরেই। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিংহের দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সমর্থকদের একাংশ।

Advertisement

যোগীর সমর্থকদের একাংশের দাবি, তাঁর বদনাম করার জন্য ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিংহ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ বলে এই ষড়যন্ত্রের তত্ত্বটি আরও বেশি করে উঠে আসছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুগামীদের অভিযোগ, গোরক্ষপুর আদিত্যনাথের নির্বাচনী ক্ষেত্র বলেই এক্ষেত্রে অন্তর্ঘাত ঘটানো হয়েছে।

এই ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিংহের এখনই ইস্তফা দেওয়া উচিত বলে মনে করে কংগ্রেস। আজ গোরক্ষপুরের ওই হাসপাতাল পরিদর্শনে যান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। তাঁর মতে, এই ঘটনায় চিকিৎসকদের দায়ী করা ঠিক হবে না। কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারির মতে, ‘‘রাজ্য সরকারের ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্যই যে শিশুমৃত্যু হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, অক্সিজেন সরবরাহকারী স‌ংস্থা ও জেলা প্রশাসনের যাঁরা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলা করতে হবে। আর নৈতিক দায় নিয়ে সরে দাঁড়ানো উচিত মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।’’ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রয়াত লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি সিদ্ধার্থনাথকে মণীশের কটাক্ষ, ‘‘লালবাহাদুরজি রেল দুর্ঘটনার পরে ইস্তফা দিয়েছিলেন। আর ইনি কেবল লালবাহাদুরজির নামে ভোট চান।’’ রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব ও বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতীও। অখিলেশের দাবি, ঠিক ক’জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়। শিশুমৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই তাদের পরিবারকে চুপিচুপি হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। মৃত শিশুদের ময়নাতদন্তও হয়নি।

Advertisement

আরও পড়ুন:নীতীশের কোপে পদ গেল শরদের

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ গোরক্ষপুর যান সিদ্ধার্থনাথ ও রাজ্যের মেডিক্যাল শিক্ষামন্ত্রী আশুতোষ টন্ডন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া পটেল ও স্বাস্থ্যসচিব সি কে মিশ্রকেও গোরক্ষপুর যাওয়ার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা। বিশেষজ্ঞদের দলও পাঠাচ্ছে কেন্দ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন