কৌতুকশিল্পী তন্ময় ভট্টের পরে এ বার কাঠগড়ায় আমেরিকার এক প্রথম সারির দৈনিক সংবাদপত্র। লতা মঙ্গেশকরের ‘অপমানে’ ফের ক্ষোভের আঁচ দেশের একটা বড় অংশে। সম্প্রতি ওই পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরকে ‘তথাকথিত সঙ্গীতশিল্পী’ বলে উল্লেখ করাতেই নয়া বিতর্কে উত্তাল এমনকী সোশ্যাল মিডিয়াও। অভিযোগ, প্রতিবেদনটিতে বিশ্ববরেণ্য ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পীকে ইচ্ছাকৃত ভাবেই খাটো করে দেখানো হয়েছে।
বিতর্কের সূত্রপাত অনলাইন কমেডি গ্রুপ এআইবি-র ‘সচিন ভার্সেস লতা সিভিল ওয়ার’ নামে স্ন্যাপ-চ্যাট ভিডিওটিতে। যাতে ‘সচিন তেন্ডুলকর’ এবং ‘লতা মঙ্গেশকরকে’ ঝগড়া করতে দেখা গিয়েছে। দু’টি চরিত্রেই অভিনয় করেছেন তন্ময় ভট্ট। বিকৃত ভাবে দুই ভারতরত্নের গলা নকল করার পাশাপাশি তন্ময়ের বিরুদ্ধে তাঁদের ‘অপমান’ করার অভিযোগেও গত কয়েক দিন ধরে তোলপাড় হয়ে রয়েছে দেশের একটা বড় অংশ।
সেই বির্তকের রেশ ছ়ড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনটিও এই ভিডিও নিয়ে। ব্যঙ্গ-ভিডিওটি ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠতেই মুম্বই পুলিশ ভিডিও লিঙ্কটি ব্লক করার কথা বলে ফেসবুক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে। অভিযোগ, প্রতিবেদনটিতে বিতর্কের চেয়েও বেশি জোর দেওয়া হয়েছে এই ভিডিও লিঙ্ক ব্লক করার প্রসঙ্গে। আমেরিকা-সহ বিশ্বের একটা বড় অংশে বহুল প্রচলিত দৈনিকটি তাদের এই প্রতিবেদনে সচিনকে ‘প্রভূত জনপ্রিয় ক্রিকেটার’ বলে উল্লেখ করলেও, লতা মঙ্গেশকরকে কেন ‘তথাকথিত সঙ্গীতশিল্পী’ বলে উল্লেখ করল, তা ঘিরেই জল্পনা ছড়িয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ‘‘ভারত তথা ভারতীয়দের তাচ্ছিল্য করাটা পশ্চিমী দুনিয়ার একাংশের কাছে একটা চেনা অভ্যাসের মতো।’’ অভিযোগ, এর আগে ২০১৪-য় ভারতের ‘সস্তায়’ মঙ্গল অভিযান নিয়েও ব্যঙ্গ করতে ছাড়েনি এই মার্কিন সংবাদপত্রটি। বার্তা দেওয়া হয়, জোর করে ‘এলিট স্পেস ক্লাবে’-র সদস্য হতে চাইছে ইসরো। ২০১৫-র ডিসেম্বরে প্যারিসের জলবায়ু চুক্তি ঘিরেও একই ছবি। বলা হয়, ভারতই নাকি বাগড়া দিচ্ছে চুক্তি সইয়ে। এ বার লতা মঙ্গেশকরকে খাটো করে দেখানোটাও সেই ট্র্যাডিশনেরই অঙ্গ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।