মুসৌরির কাছে একটি ক্যান্টনমেন্ট এলাকার এক জমি বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল সচিন তেন্ডুলকরের নাম। সচিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্যবসায়ী সঞ্জয় নারাংয়ের ব্যাঙ্ক যে জমিতে রয়েছে বিতর্কটা সেই জমি ঘিরেই। উঠেছে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ। সম্প্রতি নারাংয়ের হয়ে সচিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের সঙ্গে কথা বলেন, যাতে তাঁর জমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি সচিনের ব্যক্তিগত স্বার্থও জড়িত আছে এর সঙ্গে?
এই জল্পনা অবশ্য উড়িয়ে দেওয়া হল সচিনের পক্ষ থেকে। সচিনের মুখপাত্র দাবি করেছেন জমি সমস্যাটা সচিনের নয়, তাঁর বন্ধুর। যা মেটাতে সামনে এসেছিলেন স্বয়ং সচিন তেন্ডুলকর। সেখানে যে সচিনের কোনও ‘ফিনান্সিয়াল ইনটারেস্ট’ ছিল না। সচিনের মুখপাত্র রীতিমতো লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘‘এই মুহূর্তে সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে সঞ্জয় নারাংয়ের কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। কোনও টাকা আদান-প্রদানেরও ব্যাপার নেই। তেন্ডুলকর সব সময়ই আইন মেনে কাজ করেন। এটা শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্কের জন্যই করেছিলেন সচিন।’’
প্রায় একই কথা বলা হয়েছে সঞ্জয় নারাংয়ের পক্ষ থেকেও। নারংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘দালিয়া ব্যাঙ্ক পুরোপুরি সঞ্জয় নারাংয়ের। এবং এটা তাঁর ব্যাক্তিগত সম্পত্তি। তেন্ডুলকর নারাংয়ের বন্ধু। কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই এবং দালিয়া ব্যাঙ্কেও সচিনের কোনও মালিকানা নেই।’’ নারাং-এর তরফ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, দালিয়া ব্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে সব রকম আইন মেনেই এবং ক্যান্টনমেন্ট কর্তৃপক্ষের থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরই। যেখানে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) থেকে ৫০ মিটারের দুরত্ব রেখেই তৈরি করা হয়েছে।’’