ছবি: সংগৃহীত।
মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরকে জামিন দিল বম্বে হাইকোর্ট। তবে জামিন পাননি এই মামলায় অন্য অভিযুক্ত লেফ্টটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত পুরোহিত। প্রায় আট বছরেরও বেশি সময় জেলে কাটানোর পর মঙ্গলবার পাঁচ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মিলল সাধ্বী প্রজ্ঞার। সম্প্রতি তাঁকে ভোপালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করতে হয়।
এ দিন সাধ্বী প্রজ্ঞার জামিনের রায় শোনান বিচারপতি রঞ্জিৎ মোরে এবং বিচারপতি শালিনী ফনসলকর জোশীর ডিভিশন বেঞ্চ। জামিনের রায় শোনার পর এ দিন দুপুরে উজ্জয়িনীর পথে রওনা হয়েছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা।
আরও পড়ুন
সুকমায় ফের মাওবাদী হানা, হত ২৫ জওয়ান
আদালত জানিয়েছে, জামিন পেলেও জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-এর কাছে নিজের পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে সাধ্বী প্রজ্ঞাকে। তা ছাড়া, তদন্তের স্বার্থে এনআইএ আধিকারিকদের কাছে হাজিরাও দিতে হবে তাঁকে।
বিস্ফোরণের পর মালেগাঁও। —ফাইল চিত্র।
২০০৮-এর ২৯ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার মালেগাঁও শহরে এক বিস্ফোরণে সাত জনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন একশোরও বেশি। তদন্তে জানা যায়, মালেগাঁও শহরে মসজিদ লাগোয়া কবরস্থানে একটি মোটরসাইকেলে দু’টি বোমা রাখা ছিল। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে উঠে আসে ‘অভিনব ভারত’ নামে কট্টর হিন্দু গোষ্ঠীর নাম। অভিযোগ, ‘অভিনব ভারত’-এর হয়ে ওই বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। সে বছরের অক্টোবরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরের মাসে লেফ্টটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত পুরোহিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন
চিতা ধরতে এসে তারই খপ্পড়ে পড়লেন বনবিভাগের কর্তা!
গত বছর সাধ্বী-সহ এই মামলায় ধৃত আরও ছয় জনকে ক্লিনচিট দেয় এনআইএ। এনআইএ-এর দাবি ছিল, এই মামলায় সাধ্বী-সহ ধৃতদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। তবে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত সেই দাবি খারিজ করে সাধ্বীর জামিনের আবেদন বাতিল করে দেয়।
এর পরেই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে এনআইএ। বম্বে হাইকোর্টে আলাদা ভাবে আবেদন করেন সাধ্বী প্রজ্ঞা ও লেফ্টটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত পুরোহিত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেই দু’টি আবেদনের শুনানি শেষ হয়। এ দিন সেই আবেদনেরই রায় দিল আদালত।