নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনী নিয়ে রাজ্যব্যাপী আন্দোলনের মুখে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল সংশোধনী সংক্রান্ত যৌথ পরিষদীয় কমিটির একটি বৈঠক ও গণ-শুনানি অসমে করার প্রস্তাব দিলেন।
জেপিসি-কে পাঠানো লিখিত ওই প্রস্তাবে সর্বানন্দ জানান, রাজ্যবাসীর কাছে বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মানুষ ওই সংশোধনী নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন। আসু-সহ ২৮টি সংগঠন এমনকী জোট শরিক অগপ ও রাজ্যের বিভিন্ন বিরোধী দল, হিন্দু বাংলাদেশীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিপক্ষে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যবাসীর মতামত অগ্রাহ্য না করার অনুরোধ রেখেছেন সর্বানন্দ। তিনি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান।
২৬ অক্টোবর, দিল্লিতে জেপিসির পরবর্তী শুনানিতে অগপ নেতারা যেমন হাজির থেকে আপত্তি জানাতে চলেছেন, তেমনই সোনোয়ালের নির্দেশে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভি কে পিপারসেনিয়া ও ডিজিপি মুকেশ সহায়ও ওই বৈঠকে থেকে সদস্যদের বর্তমান পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলবেন। কমিটির হাতে তুলে দেবেন অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, সংশোধনী দেশের সব রাজ্যের জন্য প্রযোজ্য হলেও, তার প্রভাব ও চাপ যে সবচেয়ে বেশি অসমেই পড়বে—তাও কমিটিকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সংধোনী পাশ হলে ১৯৭১ সালের পরে আসা হিন্দু বাংলাদেশীরাও অসমে নাগরিকত্ব পেতে পারেন, যা অসম চুক্তির পরিপন্থী। তাই সোনোয়ালের সুপারিশ, কমিটি একবার অসমে এসে গণ শুনানির আয়োজন করতে পারে। তাঁর মতে, এর ফলে আম-জনতার মনে স্বচ্ছতা আসবে এবং ওই সংশোধনী নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে জনমত গড়তে বেগ পাবে বিরোধীপক্ষ।