National news

ইয়ার্কি হচ্ছে না কি? হোয়াটস‌্অ্যাপে চার্জ গঠন করে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত ঝাড়খণ্ডের কোর্ট 

এই অভূতপূর্ব কাণ্ডের কথা জেনে, দেশের শীর্ষ আদালত শুধু বিস্ময় প্রকাশই করল না, রীতিমতো কঠোর ভাষায় ভর্ত্সনাও করল ওই নিম্ন আদালতকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

আদালতের বিচার শুরু হচ্ছে হোয়াটস‌্অ্যাপ কলের মাধ্যমে! বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, এমনটাই ঘটেছে ঝাড়খণ্ডে, হাজারিবাগের আদালতে। এই অভূতপূর্ব কাণ্ডের কথা জেনে, দেশের শীর্ষ আদালত শুধু বিস্ময় প্রকাশই করল না, রীতিমতো কঠোর ভাষায় ভর্ত্সনাও করল ওই নিম্ন আদালতকে।

Advertisement

ঝাড়খণ্ডের এক প্রাক্তন মন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রী-র বিরুদ্ধে চলা একটি মামলার চার্জ গঠন করা হয় মাস পাঁচেক আগে। চার্জ গঠনের আবশ্যিক অংশ হিসেবে অভিযুক্তদের তা শোনাতে হয়। চার্জ গঠন শোনানোর এই গোটা প্রক্রিয়াটাই করা হয়েছিল হোয়াটস‌্অ্যাপ কলের মাধ্যমে। অভিযুক্তেরা বিষয়টিতে আপত্তি জানান, এবং তা সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনেন। তার জেরেই সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল।

ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী যোগেন্দ্র সাউ এবং তাঁর স্ত্রী নির্মলা দেবী ২০১৬ সালের একটি সাম্প্রদায়িক গোলমালের মামলায় অভিযুক্ত। ২০১৭ সালে এই ঘটনায় তাঁদের শর্তাধীন জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শর্ত ছিল, দু’জনে ভোপালে থাকবেন এবং আদালতে হাজিরা দেওয়া ছাড়া ঝাড়খণ্ডে ঢুকতে পারবেন না।

Advertisement

আরও পড়ুন: সিনেমা হলের মেঝে খুঁড়তেই বেরিয়ে এল রাশি রাশি স্বর্ণমুদ্রা!

গত ১৯ এপ্রিল তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেছিল হাজারিবাগের আদালত। যোগেন্দ্র এবং তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁদের কোর্টে আসতে দেওয়া হয়নি। হোয়াটস‌্অ্যাপ কল করে মামলার চার্জ গঠন করা হয়েছে। এর পর সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাঁরা আবেদন করেন, যাতে তাঁদের মামলা হাজারিবাগ থেকে দিল্লিতে স্থানাস্থরিত করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চে এই আবেদন করেন তাঁরা। সবটা শুনে বিচারপতিরা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “ঝাড়খণ্ডে এ সব কী চলছে!... হোয়াটস্অ্যাপে বিচার নিয়ে আমরা এখানে কথা বলছি! এটা হতে পারে না। এটা কী ধরনের বিচার? এটা কি ইয়ার্কি হচ্ছে?”

ঝাড়খণ্ডের সরকারি আইনজীবী দুই বিচারপতির বেঞ্চকে বলার চেষ্টা করেন, ওই দুই অভিযুক্তই জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন। বেশির ভাগ সময়ই ভোপালের বাইরে থেকেছেন তাঁরা। এতে মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। সে কারণেই হোয়াটস‌্অ্যাপ কলে মামলার চার্জ গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই উত্তরেও সন্তুষ্ট হয়নি বেঞ্চ। কারণ বেঞ্চের মতে, কেউ যদি জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করেন, তা হলে তাঁর জামিন বাতিল করা হোক। এই ভাবে কখনও চার্জ গঠন করা যায় না।

ঝাড়খণ্ড সরকারকে নোটিস দিয়ে, এই মামলা দিল্লিতে স্থানাস্থরিত করা সম্ভব কি না, তা জানতে চেয়েছে ওই বেঞ্চ। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ঝাড়খণ্ড সরকারকে তা জানাতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন