জাতীয় নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া থেকে যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁদের বিভিন্ন অভিযোগ, ভ্রম সংশোধন বা অন্য আবেদন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ঠিক ছিল, ৩০ অগস্ট শুরু হয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই কাজ চলবে।
এনআরসির সমন্বয়রক্ষাকারী আমলা প্রতীক হাজেলার কাছে আদালত জানতে চেয়েছিল, বাদ পড়া ব্যক্তিরা আগেই সব প্রমাণপত্র জমা দিয়েছেন। তা হলে ফের তাঁদের কাছে সব নথি কেন চাওয়া হয়েছে? আজকের শুনানিতে হাজেলা জানান, যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁরা প্রামাণ্য নথির তালিকায় থাকা ১৪টির মধ্যে ১০টি প্রমাণপত্র ফের জমা দিতে পারেন। বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি রোহিন্টন ফলি নরিম্যানের বেঞ্চ জানায়, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পক্ষকে মতামত জানাতে হবে। আপাতত আবেদনপত্র জমা নেওয়া বন্ধ থাকবে। পরের শুনানি হবে ১৯ সেপ্টেম্বর।
বিজেপির অসম শাখার দাবি, প্রামাণ্য নথি হিসেবে যে ১৪টি নথিকে স্বীকৃতি দিয়েছে নাগরিক পঞ্জি নবীকরণ দফতর ও সুপ্রিম কোর্ট— তার অনেকগুলিই জোগাড় করতে পারছে না ভিন্ রাজ্য থেকে অসমে আসা ও গ্রামের অশিক্ষিত পরিবার। তাই রিফিউজি কার্ড, সিটিজ়েনশিপ সার্টিফিকেট, মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট, ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পশুচারণ ও খুঁটি পারমিট, রাজস্ব রসিদের মতো ১৩টি নথিকে গণ্য করতে এনআরসি সমন্বয়রক্ষাকারী হাজেলাকে স্মারকলিপি দিয়েছে প্রদেশ বিজেপি।