প্রথম দিনে শুধুই সৌজন্যের বাতাবরণ!
বিরোধী বিধায়কদের আপ্যায়ন করে আনছেন শাসক দলের মন্ত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী অধিবেশন কক্ষে ঢুকেই হাজির বিরোধী বেঞ্চের সামনে। বিরোধী দলনেতার তাড়া আছে। দিল্লির বিমান ধরতে হবে। সুতরাং তাঁকেই প্রথমে শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে বিমানবন্দরের পথে রওনা করিয়ে দেওয়া। এমন নানা টুকরো টুকরো ঘটনায় ভরা ত্রিপুরার সদ্য নির্বাচিত বিধানসভার প্রথম দিনটি।
আজ ছিল বিধায়কদের শপথ। প্রোটেম স্পিকার রতন চক্রবর্তী ৬০ আসনের বিধানসভায় ৫৯ জন বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করান। ষাটতম আসনটির ফল আজ বেরিয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী জিষ্ণু দেববর্মা সেখানে জিতেছেন ২৫ হাজারেরও বেশি ভোটে। সেই খবরও পৌঁছেছে। হয়তো কালই তিনি বিধায়ক পদে শপথ নেবেন। ফলে শাসক বিজেপি জোটের শক্তি দাঁড়াল ৪৪। বিরোধী আসনে রয়েছেন সিপিএমের ১৬ জন।
ত্রিপুরা বিধানসভাকে কার্যত বিয়ে বাড়ির মতো করেই সাজানো হয়। আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ ছিলেন কন্যাকর্তার ভূমিকায়। বিরোধী বিধায়করা দল বেঁধে এলেন। রতনবাবু তাঁদের অভ্যর্থনা জানিয়ে পৌঁছে দেন আসন পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সভায় ঢুকেই এগিয়ে যান বিরোধী আসনের দিকে। বাদল চৌধুরীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন| পরে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বিরোধী দলের অভিজ্ঞ সহায়তা যাতে পাই তার জন্য ওঁদের অনুরোধ করেছি।’’