Child death

স্কুলবাস থেকে ছিটকে পড়ল শিশু, চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু! কর্নাটকে গতির বলি একরত্তি

স্কুল থেকে ফেরার পথে প্রচণ্ড গতিতে বাসটি চালানো হচ্ছিল। ৪ বছর বয়সি ওই শিশু বসে ছিল বাসের দরজার একেবারে মুখোমুখি। অভিযোগ, দরজাটি বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছিলেন চালক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪৬
Share:

স্কুল থেকে ফেরার পথে মর্মান্তিক মৃত্যু শিশুর। প্রতীকী ছবি।

স্কুল থেকে ফেরার পথে মর্মান্তিক মৃত্যু শিশুর। দুরন্ত গতিতে ছুটতে থাকা স্কুলবাসের দরজা খুলে বাইরে ছিটকে পড়ে যায় সে। তার পর ওই বাসের পিছনের চাকায় পিষে যায় তার দেহ।

Advertisement

ঘটনাটি কর্নাটকের রামনগর জেলার কনকপুরা এলাকার। মৃত শিশুর নাম রক্ষা। শ্রী সাঁই আন্তর্জাতিক স্কুলের ছাত্রী ছিল সে। গত সোমবার বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্কুল থেকে ফেরার পথে প্রচণ্ড গতিতে বাসটি চালানো হচ্ছিল। ৪ বছর বয়সি রক্ষা বসে ছিল বাসের দরজার একেবারে মুখোমুখি। অভিযোগ, বাসের দরজা বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছিলেন চালক। তাঁর সহকারীও দরজা বন্ধ করেননি। শিশুটিকে দরজার সামনে থেকে সরে ভিতরে গিয়ে বসার পরামর্শও দেননি কেউ।

শিশুটির বাবা পুলিশে যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, গতির ঝড় তুলে বাসটি এগোচ্ছিল। রাস্তার বাঁকে গতি কমাননি চালক। বরং বাঁক এলে বাসটি উল্টো দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেন। তাতেই ছিটকে যায় ছোট্ট রক্ষা। বাসের দরজা ঝাঁকুনিতে খুলে যায় এবং সে দরজা দিয়ে বাইরে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে শিশুর দেহ চলে আসে বাসের পিছনের চাকার নীচে। মাথায় আঘাত লাগায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

Advertisement

শিশুর বাবা জানিয়েছেন, চালক এবং বাসের সহকারী যদি আর একটু সতর্ক থাকতেন, তবে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। যদি দরজা বন্ধ রাখা হত, যদি শিশুটিকে বাসের ভিতরে গিয়ে বসতে বলা হত অথবা যদি বাঁক ঘোরার সময় গতি কমানো হত, শিশুটিকে হয়তো বাঁচানো যেত। চালক এবং সহকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত শিশুর বাবা। পুলিশ অভিযুক্তদের খুঁজছে। দুর্ঘটনার পর বাস ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকেই পালিয়ে যান তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন