পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত আট মাওবাদী

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরের কাছে জঙ্গলে তল্লাশি চালায় রাজ্য পুলিশ। সঙ্গে ছিল তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন শাখা ‘গ্রেহাউন্ডস’ও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রায়পুর শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৮ ১৫:৩৪
Share:

চার দিনের মাথায় ফের বড়সড় ধাক্কা খেল মাওবাদীরা। শুক্রবার সকালে ছত্তীসগঢ় ও তেলঙ্গানা পুলিশের যৌথ অভিযানে বিজাপুরে মৃত্যু হল আট মাওবাদীর। এদের মধ্যে ছ’জনই মহিলা। গত রবিবারই পুলিশের গুলিতে মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৩৯ জন মাওবাদীর।

Advertisement

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরের কাছে জঙ্গলে তল্লাশি চালায় রাজ্য পুলিশ। সঙ্গে ছিল তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন শাখা ‘গ্রেহাউন্ডস’ও। পুলিশ জানিয়েছে, বিজাপুরের ৮ কিলোমিটার দূরে ইপেঁটা গ্রামের কাছে গুলির লড়াই শুরু হয় দু’পক্ষের। গুলিযুদ্ধ থামলে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয় ছ’মহিলা-সহ আট মাওবাদীর দেহ। ঘটনাস্থল থেকে ছ’টি রকেট লঞ্চার, তিনটি গ্রেনেড-সহ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র, বেশ কিছু উর্দি এবং মাওবাদী নথি মিলেছে।

গত কয়েক মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর একের পর এক অভিযানে মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ়ের মতো রাজ্যগুলিতে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মাওবাদীরা। দুই রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী হাত মেলানোয় চাপ আরও বেড়েছে। গত রবিবারই মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলির জঙ্গলে মাওবাদীদের জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। টাড়গাঁও এলাকার বরিয়া জঙ্গলে পুলিশের সঙ্গে সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ৩৯ জনের। মার্চেও বিজাপুরেই একটি মাওবাদী শিবিরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মৃত্যু হয় ৭ মহিলা-সহ ১০ মাওবাদীর। এরই মধ্যে গত কাল ছত্তীসগঢ়ের নারায়ণপুরে আত্মসমর্পণ করে সংগঠনের ৬০ সদস্য। এত জন সদস্যের মৃত্যু এবং আত্মসমর্পণের ঘটনা সংগঠনের পক্ষে বড় ধাক্কা বলেই দাবি তাদের।

Advertisement

পুলিশ মনে করছে, গড়চিরৌলির ঘটনার বদলা নিতে বড়সড় হামলার ছক কষছিল মাওবাদীরা। গোপন বৈঠক করার জন্যই শুক্রবার বিজাপুরের ইপেঁটা গ্রামের কাছে জঙ্গলে জড়ো হয়েছিল তারা। সেই সময়ই নিরাপত্তা বাহিনীর আক্রমণের মুখে পড়ে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন