জলমগ্ন তামিল নাড়ুর বহু এলাকা। ছবি: পিটিআই।
কেরলের পর এ বার তামিলনাড়ু। কেরলের একাধিক জেলার নীচু এলাকাগুলিতে জল জমে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল আগেই। বৃষ্টি শুরু হয়েছিল তামিলনাড়ুতেও। এ বার টানা অতিভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হল চেন্নাই শহর-সহ বহু এলাকা। রবিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ভেলাচেরি, মেদাভক্কম, পাল্লিকারানাইয়ের মতো এলাকা রীতিমতো জলের তলায়। দেশের আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলতে পারে। এ দিকে আবহাওয়া দফতরের চিন্তা বাড়াচ্ছে নতুন নিম্নচাপ তৈরির হওয়ার আশঙ্কা।
আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে রবিবারই তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক সেরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। বৈঠকে ভারী বৃষ্টির মুখে পড়া এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এ দিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কেরল উপকূলের কাছে দু’টি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কারণেই শুরু হয়েছে এই অতিভারী বৃষ্টিপাত— এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এ দিকে আবহাওয়া দফতরের চিন্তা বাড়িয়েছে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা। আবহাওয়া দফতরের অনুমান, আগামিকাল মঙ্গলবারে মধ্যে সেটি পূর্ণ নিম্নচাপের রূপ নিতে পারে। এর পর সেই নিম্নচাপটি যদি উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যায়, তা হলে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির আবহাওয়া আরও খারাপ হতে পারে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এমন পরিস্থিতি সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের সৈকতে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের অনুমান, আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণ এবং মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় প্রতি ঘণ্টা ৩৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে হাওয়া বইতে পারে। উত্তাল থাকতে পারে কেরল সংলগ্ন আবর সাগরও। আগামিকাল, মঙ্গলবার চেন্নাই, তিরুভাল্লুর, কাঞ্চিপূরম, ভিল্লুপূরমের মতো একাধিক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এ দিকে দিনভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন পরিস্থিতিতে চেন্নাইয়ের বহু এলাকায় থমকে থেকেছে যান চলাচল। এমনকি, চেন্নাই বিমানবন্দরের রানওয়েতে জল জমে যাওয়ায় সমস্যার মুখে পড়ে বিমানের ওঠানামাও। আবার টানা বৃষ্টি এবং ভূমিধসের কারণে বিপর্যস্ত নীলগিরির রেল পরিষেবাও। এ দিকে পেরিয়ার নদীর উপর তৈরি মুল্লাপেরিয়ার বাঁধ বাঁচাতে শুরু হয়েছে জল ছাড়া। জলাধারের আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেতামিলনাড়ু প্রশাসন।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে