HIV Infected Girl Raped

এইচআইভি আক্রান্ত কিশোরীকে দু’বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ মহারাষ্ট্রের হোমে! জোর করে করানো হয় গর্ভপাতও, ধৃত চার

নির্যাতিতার বয়ান অনুসারে, বার বার ধর্ষণের ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিশোরীকে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যান হোম কর্তৃপক্ষ। সেখানেই জোর করে তার গর্ভপাত করানো হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ১৫:২৩
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

মহারাষ্ট্রের লাতুরে একটি হোমে এইচআইভি আক্রান্ত কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওই হোমেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে। গত দু’বছরে চার বার তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সব জেনেও কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি নির্যাতিতা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পরে তাকে গর্ভপাতের জন্যও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ কিশোরীর। ঘটনায় ইতিমধ্যে হোমের মালিক, সুপার-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

এইচআইভি আক্রান্ত শিশুদের মহারাষ্ট্রের ওই হোমটিতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। ১৬ বছর বয়সি ওই কিশোরীও ছিল সেখানে। অভিযোগ, ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত ওই হোমেরই এক কর্মী তাকে চার বার ধর্ষণ করেছে। ওই ঘটনার কথা কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ও দেখানো হত তাকে। এর পরেও ওই কিশোরী হোম কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু তার কথাকে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। হোমের অভিযোগ গ্রহণ বাক্সে কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে সে একটি চিঠিও লিখেছিল। অভিযোগ, সেই চিঠিটিও ছিঁড়ে ফেলা হয়।

নির্যাতিতার বয়ান অনুসারে, বার বার ধর্ষণের ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিশোরীকে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যান হোম কর্তৃপক্ষ। সেখানেই জোর করে তার গর্ভপাত করানো হয় বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ওই ঘটনায় লাতুরের এক থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মোট ছ’জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। অভিযুক্ত কর্মী ছাড়াও, হোমের প্রতিষ্ঠাতা, সেটির সুপার এবং অন্য এক কর্মীর বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন গর্ভপাত করানো সেই চিকিৎসকও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে হোমের প্রতিষ্ঠাতা, সুপার এবং দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, সেখানে মোট ২৩ জন নাবালক এবং সাত জন নাবালিকা রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই এইচআইভি আক্রান্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement