Landslide in Sikkim

সিকিমে ফের ধস, মৃত্যু অন্তত চার জনের, আহত আরও কয়েক জন! উদ্ধারকাজে এসএসবি ও পুলিশ

বৃষ্টির কারণে সিকিমের হিউম নদী প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। ফলে দুর্ঘটনাস্থল সাময়িক ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উদ্ধারকারী দল নদীর উপর একটি অস্থায়ী কাঠের সেতু তৈরি করেছে। মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৫৬
Share:

পশ্চিম সিকিমে ধসে মৃত্যু। — নিজস্ব চিত্র।

সিকিমে ফের ভূমিধস। পশ্চিম সিকিমের রিম্বি এলাকার ই‌য়াংথাঙে ধসের কারণে অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ এখনও কয়েক জন। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধসটি উপর দিক থেকে নেমে এসে একটি বাড়িকে কাদামাটি এবং পাথরে ঢেকে দেয়। বাড়ির ভিতরে আটকে পড়েন পরিবারের সদস্যেরা।

Advertisement

জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে ই‌য়াংথাঙে ধস নামে। স্থানীয় পুলিশ সুপার গেইজিং শেরিং শেরপা জানান, ধসের কারণে ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন পুলিশ এবং সশস্ত্র সীমান্ত বলের (এসএসবি) সদস্যেরা। উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয়েরাও। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অপর জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। পুলিশ সুপারের কথায়, ‘‘পাহাড়ি দুর্গম এলাকা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বার বার উদ্ধারকার্যে ব্যাঘাত ঘটছে।’’

পশ্চিম সিকিমে টানা বৃষ্টি চলছে। অতিবৃষ্টির ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বৃষ্টির কারণে হিউম নদী প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। ফলে দুর্ঘটনাস্থল সাময়িক ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উদ্ধারকারী দল নদীর উপর একটি অস্থায়ী কাঠের সেতু তৈরি করেছে। মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

Advertisement

ধসের কারণে বিগত দু’-তিন মাসের মধ্যে বেশ কয়েক বার বন্ধ হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক শিলিগুড়ি থেকে সিকিমে পৌঁছোনোর প্রধানতম রাস্তা। ফলে এই সড়ককে সিকিমের ‘লাইফলাইন’ বলা হয়ে থাকে। এই রাস্তা বন্ধ থাকলে দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকেরা। গত এপ্রিল এবং জুনে পর পর ভূমিধসে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল উত্তর সিকিম। বহু পর্যটক আটকে পড়েন ধসের কারণে।

উল্লেখ্য, সিকিম-সহ উত্তরবঙ্গে কয়েক দিন ধরেই বৃষ্টি চলছে। কখনও ভারী, কখনও আবার অতিভারী বর্ষণে ভাসছে উত্তরের জেলাগুলি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। আগামী বুধবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর হাওয়া অফিস সূত্রে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement