দুর্ঘটনার পর আগুন ধরে গিয়েছে বাসটিতে। শুক্রবার ভোরে অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে। ছবি: সংগৃহীত।
রাজস্থানের পর অন্ধ্রপ্রদেশ। ফের যাত্রীবোঝাই বাসে আগুন লেগে দুর্ঘটনা। এ বার ঘটনাস্থল অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ কুর্নুল জেলার চিন্নাটেকুর গ্রামের কাছে একটি বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বাসটিতে আগুন ধরে যায়। বাসটি হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল। তাতে মোট ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আহত বহু। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেসরকারি সংস্থার মালিকানাধীন বাসটি ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে এগোচ্ছিল। সংঘর্ষের পর বাসের সামনে আটকে যায় বাইকটি। ওই অবস্থায় কিছু দূর যাওয়ার পরেই আগুন ধরে যায় বাসটিতে। ঘটনাচক্রে, রাজস্থানের মতোই হায়দরাবাদেও দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি বাতানুকূল (এসি) ছিল। দুর্ঘটনার সময় অনেক যাত্রীই ঘুমিয়েছিলেন। তবে বাসে আগুন ধরেছে বুঝতে পারার পরেই তাঁদের অনেকে জানলা ভেঙে লাফিয়ে প্রাণ বাঁচান। কিন্তু অনেকেই বাইরে বেরোতে পারেননি।
যাত্রীদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেবানোর চেষ্টা করেন। খবর দেওয়া হয় দমকলকে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই বাসটি প্রায় পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের অনেকের শরীর এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে, তাঁদের চিহ্নিতই করা যাচ্ছে না। কুর্নুলের সরকারি হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাসে আগুন লাগার পরেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছেন চালক। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্ধপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। সরকারি সফরে এখন তিনি দুবাইয়ে রয়েছেন। তবে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই তিনি মুখ্যসচিব এবং অন্য সরকারি শীর্ষ আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। আহতদের সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে চন্দ্রবাবু লেখেন, “অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে বাসে আগুন লেগে মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি মৃতদের পরিবারকে আমার অন্তরের সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”