(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং লিয়োনেল মেসি (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বায়ুদূষণের সঙ্গী ঘন কুয়াশা! এই দুইয়ের জেরে সোমবার সকালে দিল্লির কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যে এসে ঠেকে। ফলে ব্যাহত হয় বিমান এবং রেল পরিষেবা। পুরু কুয়াশার জেরে দিল্লি বিমানবন্দরে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৬০টি উড়ান বাতিল করা হয়েছে। দেরিতে চলছে ৪০০টি উড়ান। দিল্লি ডিভিশনে অন্তত ৬০টি ট্রেন দেরিতে চলছে। সোমবার বিকেলেই দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান রয়েছে লিয়োনেল মেসির। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কুয়াশার কারণে মুম্বই থেকে মেসির বিমান দেরিতে ছাড়ছে। সেই কারণে অনুষ্ঠানের সময় পিছোতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবারই ত্রিদেশীয় সফরে বেরিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর প্রথম গন্তব্য জর্ডন। তার পর ইথিওপিয়া এবং ওমানে যাবেন তিনি। সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধানমন্ত্রীর বিমানের ওড়ার কথা ছিল। কম দৃশ্যমানতার কারণে সেই সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। এক ঘণ্টা পর, সকাল সাড়ে ৯টায় বিমানে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। তারও কিছু ক্ষণ পর বিমান জর্ডনের উদ্দেশে রওনা দেয়। জর্ডনে গিয়ে সে দেশের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লা ইবন আল হুসেন এবং প্রধানমন্ত্রী জাফর হুসেনের সঙ্গে দেখা করবেন মোদী।
ভারতের আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) ইতিমধ্যেই ঘন কুয়াশার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে। বাসিন্দাদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে ৪০০ বিমান দেরিতে চলছে। আরও কয়েকটি বিমান দেরিতে চলতে পারে বলে জানিয়েছে দিল্লি বিমানবন্দর। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের বিমানের পরিবর্তিত সময়সূচির দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। বিমান পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার জন্য যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া স্পাইসজেটের মতো বিমানসংস্থাগুলি।
অন্য দিকে, দেশের রাজধানীর বাতাস এখনও ‘ভয়ানক’-ই রয়ে গিয়েছে। দূষণ মোকাবিলার জন্য সর্বোচ্চ স্তরের নিয়ন্ত্রণবিধি জারি রয়েছে। তা-ও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না দিল্লিতে। দূষণের জেরে এমনিতেই দিল্লিতে ধোঁয়াশার আস্তরণ রয়েছে। শীতের মরসুমে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। জুড়েছে ঘন কুয়াশার চাদরও। দুইয়ের মিশ্রণে গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সোমবার সকালেও দিল্লিতে বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ছিল ৪৫০-এর উপরে। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি)-এর হিসাবে, একিউআই ৪০০-র উপরে উঠে গেলেই তা ‘ভয়ানক’।