ফের গোষ্ঠী সংঘর্ষ মুজফ্ফরনগরে

দুই গোষ্ঠীর বচসা থেকে গোলমাল। আর তার জেরে ফের শিরোনামে মুজফ্ফরনগর। ঝামেলায় জড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ন’জনকে। উত্তরপ্রদেশের এই জেলায় বছর আড়াই আগের গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল কমপক্ষে ৬২ জনের। বহু মানুষ ঘরছাড়া হন সেই সময়। কাল দুই পক্ষের গোলমালে নয়া বংশ নামে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি মেয়েকে উত্যক্ত করা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৬ ০৪:১৪
Share:

দুই গোষ্ঠীর বচসা থেকে গোলমাল। আর তার জেরে ফের শিরোনামে মুজফ্ফরনগর। ঝামেলায় জড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ন’জনকে। উত্তরপ্রদেশের এই জেলায় বছর আড়াই আগের গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল কমপক্ষে ৬২ জনের। বহু মানুষ ঘরছাড়া হন সেই সময়।

Advertisement

কাল দুই পক্ষের গোলমালে নয়া বংশ নামে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি মেয়েকে উত্যক্ত করা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। অভিযোগ, কলেজ যাওয়ার সময় ওই মেয়েটিকে কটূ কথা বলে এক দল যুবক। মেয়েটি তার দাদাকে সব জানালে তিনি প্রতিবাদ করতে বেরিয়ে আসেন। আর তা থেকেই দুই গোষ্ঠীর লোকজন পাথর ছোড়াছুড়িতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে আজও গোটা এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, গোটা এলাকা থমথমে। জায়গায় জায়গায় অবশ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে নিয়মিত টহলদারি।

ন’জনকে গ্রেফতার করা নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে চাপানউতোর চলছে। যে মেয়েটিকে নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত, তার পরিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে, তাদের বাড়ির দুই সদস্যকে লকআপে ঢুকিয়েছে পুলিশ। তারাই প্রথম পুলিশে নালিশ করেছিল বলেই এ ভাবে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওই ছাত্রীর পরিবারের। ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুজফ্ফরনগরের বিধায়ক কপিল দেবও। তাঁরও বক্তব্য, মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের ছাড়াতে যখন স্থানীয় বাসিন্দারা থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, সেই সময় লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাতে আহত হয়েছেন এলাকারই বেশ কিছু মহিলা। লাঠি চালনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন ওই বিধায়ক।

Advertisement

তবে যার বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীকে হেনস্থা করার মূল অভিযোগ রয়েছে, তার পরিবারের লোকজন সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযুক্তের কাকা দাবি করেছেন যে, কিছু শিশু কাল এলাকায় রঙের বেলুন নিয়ে খেলছিল। সেই থেকেই গোলমালের শুরু। তাঁদের পরিবারের ছেলে কোনও মেয়েকে হেনস্থা করেনি বলেই দাবি করেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন