জলপ্রপাতের উপর আটকে রয়েছেন পর্যটকেরা, চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: সংগৃহীত।
প্রকৃতির শোভা দেখতে জলপ্রপাতের মাথায় চড়েছিলেন অতি উৎসাহী পাঁচ পর্যটক! কিন্তু এক টানা বর্ষণে সেখানেই আটকে পড়লেন তাঁরা। শেষমেশ স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় ঘণ্টাখানেক পর উদ্ধার করা হল পাঁচ জনকেই। সোমবার দক্ষিণ কর্নাটকের এরগুন্ডি জলপ্রপাতে ঘটনাটি ঘটেছে। জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে বড়সড় বিপদ ঘটার আগেই নিরাপদে নীচে নামিয়ে আনা হয়েছে আটকে পড়া পর্যটকদের।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে কর্নাটকের এরগুন্ডি জলপ্রপাতের মাথায় চড়েছিলেন পাঁচ পর্যটক। কিন্তু একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে জলস্তর হুহু করে বাড়ছিল। ফলে জলপ্রপাতের চূড়াতেই আটকে পড়েন পাঁচ পর্যটক। জলের তোড়ে তাঁরা প্রায় ভেসে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তার আগেই তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজে নেমে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় তাঁদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, জলপ্রপাতের চূড়ার মাত্র কয়েক ফুট নীচেই প্রবল তোড়ে বইছিল জল। পাথরের উপরে কোনও মতে দাঁড়িয়ে ছিলেন পাঁচ যুবক। অন্য দিকে, দড়ির সাহায্যে রেলিং বানিয়ে তাঁদেরকে এলাকা থেকে নিরাপদে বার করে আনার চেষ্টা করেন স্থানীয়েরা।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহ থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে কর্নাটকে। সপ্তাহান্তেও রাজ্যের উল্লাল, সোমেশ্বর, শশিহিথলু, উচিলা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় একটানা ভারী বৃষ্টি চলেছে। বিপদসীমা দিয়ে বইছে দক্ষিণ কন্নড় জেলার কুমারধারা, ফাল্গুনী এবং নেত্রাবতী নদীর জলস্তর। এই পরিস্থিতিতে নদী-তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। উত্তর কন্নড়, দক্ষিণ কন্নড়, শিমোগা, উদুপি, চিকমাগালুর এবং কোডাগু জেলায় অতিভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। ধারওয়াদ, হাভেরি, হাসান এবং মহীশূর জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা। বেহাল দশা বেঙ্গালুরুতেও। গত সপ্তাহে সেখানে ১২ ঘণ্টায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত দশ বছরে ১২ ঘণ্টায় এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে শহরে। জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে পাঁচশোরও বেশি বাড়ি।