হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়

এসএফআই নেতার ইস্তফা, অস্ত্র বিজেপির

হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক-ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে কংগ্রেস এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে সুবিধাবাদী রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে এসএফআইয়ের পদ ছাড়লেন ছাত্র-নেতা রাজুকুমার সাহু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৬ ০৩:৫৭
Share:

হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক-ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে কংগ্রেস এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে সুবিধাবাদী রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে এসএফআইয়ের পদ ছাড়লেন ছাত্র-নেতা রাজুকুমার সাহু। বাম শিবিরের মধ্যে এমন ফাটলের সন্ধান পেয়ে পত্রপাঠ তা ব্যবহারে নামল বিজেপি! কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে আক্রমণ করে তাদের কটাক্ষ, স্বার্থ মিলে যায় বলেই বাংলার নির্বাচনে কংগ্রেস ও কমিউনিস্টরা জোট বেঁধেছে! কেরলে বিধানসভা ভোটে এই হাতিয়ার ব্যবহার করতেও কসুর করছে না নরেন্দ্র মোদীর দল! তাদের এই ঝাঁপিয়ে পড়া দেখে এসএফআইয়ের পাল্টা দাবি, টোপ দিয়ে তাদের ছাত্র-নেতাকে ভাঙানো হয়েছে!

Advertisement

রোহিত-কাণ্ডে আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনের তরফে যৌথ অ্যাকশন কমিটি (জেএসি) গড়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পি আপ্পা রাওয়ের ইস্তফা লাগাতার দাবি করে আসছে জেএসি। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক এবং এসএফআই নেতা রাজুকুমার এ বার ওই জেএসি-র উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। পদ ছাড়ার চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই হচ্ছে ভেবে তিনি আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন জেএসি কংগ্রেস ও সিপিএম নেতাদের ইন্ধনে কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে অযৌক্তিক আক্রমণ করছে বলে রাজুকুমারের অভিযোগ।

এসএফআই নেতার এই বিস্ফোরণের খবর পাওয়া মাত্রই বিষয়টিকে দিল্লিতে টেনে নিয়ে গিয়ে বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব ও সচিব শ্রীকান্ত শর্মা বৃহস্পতিবার সরাসরি বিঁধেছেন সনিয়া ও ইয়েচুরিকে। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘সনিয়া জবাব দিন, রোহিতের মৃত্যুর পরে রাহুল গাঁধী কী কারণে দু’বার সেখানে গিয়েছিলেন? ইয়েচুরিই বা ছুটে গিয়েছিলেন কেন? রোহিত তাঁর সুইসাইড নোটে যে কথা লিখে গিয়েছিলেন, রাজু এখন একই হতাশা প্রকাশ করছেন!’’ বিজেপি সূত্রের মতে, কেরলের ভোটে বিষয়টি তাদের সাহায্য করবে। তাদের অভিযোগ, বাংলায় ও কেরলে কমিউনিস্টরা বিরোধী পক্ষের কর্মীদের হত্যা করেছে, ছাত্রদের উপরে অত্যাচার করছে। আর তাদের সঙ্গেই এখন জোট বেঁধেছেন সনিয়া!

Advertisement

যদিও এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক বিক্রম সিংহ পাল্টা অভিযোগ এনেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং বিজেপি-র যোগসাজশেই তাঁদের আন্দোলনকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। বিক্রমের কথায়, ‘‘দেখাই যাচ্ছে, ওই ছাত্র-নেতা বিজেপি-র শেখানো বুলি বলছেন! তবে এতে বাকি ছাত্রদের আন্দোলনের ঐক্যে প্রভাব পড়বে না।’’ তিনি জানিয়েছেন, রাজুকুমারের চিঠি আনুষ্ঠানিক ভাবে এসএফআই নেতৃত্বের হাতে আসেনি। কিন্তু বিষয়টি জনসমক্ষে প্রচারিত হয়ে যাওয়ায় ওই ছাত্র-নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে এসএফআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন